টি ২০ ক্রিকেটে (T20 Cricket) অসম্ভব কিছুই নয়। কোনও দলকেই ফেভারিট বলে ধরা যায় না। যে দল ভালো খেলবে ম্যাচ তাদেরই। এই ফরম্যাটে যে কোনও দল জেতার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে টি ২০ ফরম্যাটে কোনও দল একবার পিছিয়ে পড়লে কামব্যাক করা কঠিন হয়ে পড়ে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও নিউজিল্যান্ডের (UAE vs NZ) মধ্যে খেলা দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচ তারই উদাহরণ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি ২০তে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। টি ২০তে ইউএই-র বড় কৃতিত্ব।
কারণ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ড এই ফরম্যাটের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি রয়েছে ১৬তম স্থানে। ইউএই-র ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বড় জয় এটি।১৪৩ রান তাড়া করতে নেমে ইউএই প্রথম উইকেট হারায় শূন্য রানে। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম ও বৃতিয়া অরবিন্দ। ওয়াসিম ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন অরবিন্দ। এছাড়া আসিফ খান ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। একইসঙ্গে বাসিল হামিদও ১২ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন।
মাত্র ১৫.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ ব্যবধানে সমতায়। রবিবার দুবাইয়ে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি ২০ ম্যাচ রয়েছে। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ১৯ রানে। সেই ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে কঠিন লড়াই দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। আজ তৃতীয় ম্যাচে আগের দিনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারলে সেটি হবে আমিরশাহির ঐতিহাসিক জয়।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম। নিউ জিল্যান্ড শুরুতেই টিম সেইফার্টের উইকেট হারায়। তিনি ৬ বলে ৭ রান করেন। আরেক ওপেনার চ্যাড বোয়েস ২১ বলে ২১ রান করেন। ২৭ রানের মাথায় পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল টিম সাউদির নেতৃত্বাধীন দল। মিচেল স্যান্টনার এবং ডেন ক্লিভার যথাক্রমে ৪ বলে ১ রান এবং ১ বলে ০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মার্ক চ্যাপমান নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি ৪৬ বলে ৬৩ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ৩টি ছয়। কোল ম্যাককঞ্চি এবং রাচিন রবীন্দ্র খুব বেশি রান করতে পারেননি। জেমস নিশাম ১৭ বলে ২১ রান করতে সক্ষম হন। কাইল জেমিসন এবং অধিনায়ক টিম সাউদি যথাক্রমে ৬ বলে ৮ রান এবং ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করে নিউ জিল্যান্ড।
ইউএই-এর ওপেনার আরিয়ানশ শর্মা এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার মহম্মদ ওয়াসিম ২৯ বলে ৫৫ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসে তিনি ৪টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন।বৃত্তি অরবিন্দ ২১ বলে ২৫ রান করেন। আসিফ খান ৫টি চার এবং ১টি ছয় সহ ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। বাসিল হামিদ ১২ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৫.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৪ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান অয়ন আফজাল খান।