চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে পরপর পাঁচ ম্যাচে হারের সম্মুখীন হতে হল বাংলাদেশ দলকে। নেদারল্যান্ডসের কাছে ও ৮৭ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ দল। মীরপুরের পরে ইডেন গার্ডেন্সেও দর্শকদের কটাক্ষের শিকার হতে হল শাকিব আল হাসানকে। তবে অধিনায়ক তাতে একটুও রাগলেন না। বরং তার সরাসরি বক্তব্য দর্শকদের অধিকার রয়েছে এইসবের। দলকে তারা ভালোবাসে। দলের জয় দেখতেই তারা মাঠে আসে। পাশাপাশি এদিন ম্যাচ শেষের সাংবাদিক সম্মেলনে আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন শাকিব। বিশ্বকাপের আগে হওয়া তামিম ইকবাল এবং শাকিব আল হাসানকে নিয়ে তৈরি হওয়া অযথা বিতর্ক যে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতেও পারে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর ইডেন গার্ডেন্সে সাংবাদিক সম্মেলন শুরুর আগে টেবিলে রাখা স্পনসরদের একটি জলের বোতল থেকে কয়েক ঢোক জল খেয়ে নেন শাকিব আল হাসান। বেশ শান্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু চোখে মুখে রয়েছে গম্ভীরভাব। হয়তো আন্দাজ পেয়েছিলেন যে এবার কড়া প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাঁকে। আর সেটাই হল বাস্তবে। মাঠে কিছুক্ষণ আগেই নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সঙ্গে জেতার পর টানা ৫ ম্যাচে হার। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাওয়ার আগে তামিম ইকবালকে নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছিল। যার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন অধিনায়ক শাকিব।
শাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিশ্বকাপের আগে তামিম ইস্যু এবারের বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে কি না? তার উত্তর একেবারে সোজা ব্যাটে দিলেন শাকিব। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ফেলতেই পারে, অস্বাভাবিক কিছু না। ব্যক্তি বিশেষের মনের ভেতর কী রয়েছে এটা তো বলা মুশকিল! আপনি যেটা বলছেন সেটায় আমি অসম্মতি জানাচ্ছি না। এই ইস্যু আমাদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতেই পারে।’পাশাপাশি শাকিব স্বীকার করেছেন বিশ্বকাপে ভালো খেলতে যে প্রস্তুতি দরকার তা নিয়ে ভারতে আসেনি পারেনি বাংলাদেশ দল। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের প্রস্তুতির অনেক ঘাটতি রয়ে গিয়েছে । কিন্তু এখন আসলে এই অজুহাতগুলো দিয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। কিন্তু আমরা একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই।’
১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। গত ২৪ বছরে ৭টি বিশ্বকাপ খেলেছে তারা। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাই তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য। শাকিবের কাছে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় যে কী করলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব।তিনি এই কথার উত্তরে বলেন, ‘এটা তো বলা মুশকিল। আপনি ভুল মানুষকে হয়তো এই প্রশ্নটি করেছেন। অনেক কিছু পরিবর্তন করলে হয়তো বদলাবে ভাগ্য। কিন্তু এখন আসলে এই সব বলার সঠিক সময় নয় একেবারেই নয়। এটা অবশ্যই হতাশার সময় গোটা দলের জন্য।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের মানুষেরা যেভাবে ক্রিকেট খেলাকে পছন্দ করে, সবাই যেভাবে ক্রিকেটে মনোযোগ দেয়, আমাদের এর থেকে ভালো করা উচিত ছিল তাদের কথা ভেবে।”