নিষিদ্ধপল্লীতে এসে কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! পথের ভিখারি হয়ে বেরোলেন ২ যুবক

ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন একটু আনন্দ করতে। কিন্তু এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। নিষিদ্ধ পল্লীতে এসেছিলেন টাকা খরচ করে উপভোগ করতে। তবে উপভোগ যতটুকু না করেছেন, তার থেকে খরচ হয়েছে বেশি। খালি হয়ে গিয়েছে অ্যাকাউন্ট। একই সঙ্গে দালালদের খপ্পরে পড়ে জুটেছে মারধর। হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে দুই যুবকের কাছে থেকে। আসানসোলের কুলটির দিশা যৌনপল্লীতে এসে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের দুই যুবকের।

জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে দুই যুবক লছিপুর দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্রে এসেছিলেন। সেখানে নাচ দেখার জন্য এসেছিলেন তারা। এক দালাল মারফত তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত পেরোতেই তাদের কাছে চাওয়া হয় ৪৫ হাজার টাকা। তা জানতে চাইলে যুবকদের হুমকি দিয়েছেন ওই দালাল, অভিযোগ এমনটাই। দুই যুবকের কাছে থেকে তখন এক লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।

যুবকরা প্রতিবাদ করতে গেলে বেশ কয়েকজন এসে তাদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে তাদের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে সমস্ত টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে। প্রতারক দালালদের খপ্পরে ওই দুই যুবক ৪৫০০০ টাকা খুঁইয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে দিশা যৌনপল্লীর এক যৌনকর্মী জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই দালাল রাজ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এর আগেও একাধিক এমন ঘটনা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। হয়তো প্রতারিতরা সাহস করে পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারেন নি। কিন্তু এর ফলে দিশা যৌনপল্লীর বাজার খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। এইভাবে প্রতিদিন গ্রাহকদের ঠকানো হলে ধীরে ধীরে গ্রাহক সংখ্যা সেখানে আরও কমে যাবে। যার ফল ভুগতে হবে স্থানীয় যৌন কর্মীদের, এমনটাই জানিয়েছেন ওই যৌনকর্মী।

তিনি আরও বলেছেন, এর ফলে তাদেরকে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হবে। সেজন্য অবিলম্বে তারাও চাইছেন এই দালাল রাজ বন্ধ হোক লছিপুর দিশা জন কল্যাণ কেন্দ্রে।