‘ব্যালন ডি’অর ‘ রেকর্ড ডাকছে মেসিকে

লিওনেল মেসিকে আজ কীভাবে আটকানো যায়, তার ছক কষছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ। মেসিকে পাস দেওয়া যাবে না, জায়গা তৈরি করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথেও কাঁটা বিছিয়ে দিতে রণকৌশল সাজাচ্ছে তারা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ৩৫ বছর বয়সী তারকা কী করতে পারেন, সেটাই দেখার। তবে অতীত রেকর্ড বলছে, ম্যাচের অধিকাংশ সময়ে তাকে সবসময় আটকে রাখা কঠিন।

মেসি-ম্যাজিকে ফাঁকগলে ঠিকই বল বের করে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। সে কারণেই তাকে বলা হয় ভিনগ্রহের ফুটবলার!নিজে না পারলে তখন সতীর্থকে দিয়ে উৎসবের উপলক্ষ তৈরি করেন। সব মিলে তিনি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। কঠিন এই ম্যাচে আজ আবার রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে। আজ গোল করতে পারলেই সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী হবেন নতুন রেকর্ডের মালিক।এমনিতে কাতার বিশ্বকাপে এসে মেসি অন্যান্য রেকর্ড কিংবা মাইলফলক কম স্পর্শ করেননি।

পেশাদার প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০০০ ম্যাচ ছাড়িয়েছেন। প্রয়াত গ্রেট ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিশ্বকাপে ৮ গোল অতিক্রম করেছেন। শেষ ম্যাচে তো আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১০ গোলকেও স্পর্শ করেছেন।তাই আজ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসির মূল্যবান গোল শুধু দলকেই ফাইনালে নিয়ে যাবে না, হবে নতুন রেকর্ড। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি তখন এককভাবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হবেন।

বাতিস্তুতা এমনিতে তিন বিশ্বকাপ (১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২) খেলে ১২ ম্যাচে ১০ গোল করেছিলেন। তার এই রেকর্ড নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই মেসি স্পর্শ করেছেন।বাতিস্তুতার এই রেকর্ড গত ২০ বছরে কেউ ভাগ বসাতে পারেনি। মেসি এবার একই কাতারে চলে এসেছেন। এর জন্য বাতিস্তুতা আগেই তাকে অভিনন্দন জানিয়ে রেখেছেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই রেকর্ডটার মালিক ছিলাম। উপভোগও করছি। এখন তোমার সঙ্গে এটা ভাগাভাগি করছি। যা আমার জন্য বড় সম্মান ও আনন্দের। আমার প্রত্যাশা পরের ম্যাচে তুমিই নতুন রেকর্ড গড়বে।’

মেসিও তাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি। উদার চিত্তে বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জাতীয় দলের জন্য ধারাবাহিকভাবে গোল করে যাওয়া। কে গোল করছে সেটা বিষয় না।’