২০১৯ সালে চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে খেলা এর আগের একমাত্র স্মৃতি বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। সেবার স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়ে রশিদ খানদের বিপক্ষে নাজেহাল হয়ে ২২৪ রানে ম্যাচ হেরেছিল সাকিব আল হাসানের দল।নিশ্চিতভাবেই সেই ভুল করার পথে নেই দল। এবার একমাত্র টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার, স্পিনার কেবল দুজন। আঁচ করা যাচ্ছে উইকেট হতে পারে কেমন।মিরপুরের বাইশগজে সোমবারও বেশ খানিকটা ঘাস দেখা গেল।
ম্যাচ শুরুর আগে আরও কিছু ঘাস কাটা হলে টানা বৃষ্টির কারণে সতেজ ঘাসের উপস্থিতি থাকবে বলেই ধারণা করা যায়।সকালে মিরপুরে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে উইকেট দেখেও পরিস্থিতি বুঝে গেছেন হাসমতুল্লাহ। তা দেখে চিন্তার কোন কারণ দেখছেন না তিনি, ‘আজ উইকেট দেখলাম, ঘাস আছে। কিছুটা সবুজ উইকেট বানানো হয়েছে। আমাদের জন্য ঠিকাছে। আমাদের ভালো পেসার আছে, স্পিনারও আছে। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলব। সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত আছি।’২০১৯ সালে খেলা একমাত্র টেস্টেও ছিল বৃষ্টির বাগড়া। তবে বাংলাদেশের জন্য সেই টেস্ট ছিল দুঃসহ যন্ত্রণার।
নতুন টেস্ট দল হয়েও সাকিবদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় তারা। হাসমতুল্লাহ জানালেন সেই টেস্ট থেকেও প্রেরণা নিচ্ছে আফগানরা, ‘হ্যাঁ এটা অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। এখানে একটা টেস্ট খেলেছি, সেটাই জিতেছি। আমরা সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলব, গত ম্যাচ থেকে প্রেরণা নিব।’ আগের বারের চেয়ে এবারের তফাৎ হলো দলে নেই সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ।রশিদ না থাকা একটা বাড়তি চ্যালেঞ্জ মানছেন আফগান অধিনায়ক, ‘একটু চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। সবাই জানে সে আমাদের অন্যতম প্রধান বোলার। টেস্টে অতীতে সে অনেক ভালো করেছে। তবে আমাদের অন্য বোলার আছে, অন্য অপশন আছে। তারাও ভালো খেলবে ইনশাআল্লাহ্।’
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২০১৮ থেকে এখনো পর্যন্ত কেবল ৬টা টেস্ট খেলেছে আফগানিস্তান। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে সেই ২০২১ সালের মার্চে। লম্বা এই বিরতির পরও ইতিবাচক থেকে জেতার আশা করতে চান হাসমতুল্লাহ, ‘আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে এসেছি, ম্যাচটাও জিততে চাই। অনেকদিন ধরে আমরা টেস্ট খেলি না। সর্বশেষ খেলেছি জিম্বাবুয়েতে সেটাও ৩ বছর আগে।
অবশ্য আমরা ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি, অনেক খেলোয়াড় খেলে সেখানে। এই টেস্টের জন্যও আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ইনশাআল্লাহ্ নিজেদের সেরাটা চেষ্টা করব।’