ঐতিহাসিক: সবথেকে দ্রুততম সেঞ্চুরি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাবর আজম!

লঙ্কা প্রিমিয়র লিগে ধ্বংসাত্মক শতরান করে কলম্বো স্ট্রাইকার্সকে জেতালেন বাবর আজম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টুর্নামেন্টের ৪ ম্যাচে মাঠে নেমে কলম্বো ২টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। ২টি ম্যাচেই সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন পাক দলনায়ক। বি-লাভ ক্যান্ডির বিরুদ্ধে ধৈর্যশীল হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবর। এবার গল টাইটানসের বিরুদ্ধে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে শতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি।পাল্লেকেলেতে লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের ১০ নম্বর ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গল টাইটানস ও কলম্বো স্ট্রাইকার্স। আর রান চেজ করতে নেমে ইতিহাস গড়লেন বাবর আজম।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন উইকেটকিপার টিম সেফার্ত। নিশ্চিত অর্ধশতরান মাঠে ফেলে আসেন শেভন ড্যানিয়েল।সেফার্ত ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৪ রান করে নট-আউট থাকেন। ড্যানিয়েল ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। এছাড়া ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ৩৬ রান করেন লসিথ ক্রুসপুল্লে। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৩০ রান করেন ভানুকা রাজাপক্ষে। ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকা ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

কলম্বোর হয়ে ৩৬ রানে ১টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। ৩৩ রানে ১টি উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস। ২৯ রানে ১ উইকেট দখল করেন লক্ষ্মণ সান্দাকান। উইকেট পাননি মাথিসা পথিরানা, মহম্মদ নওয়াজ ও চামিকা করুণারত্নে।জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলম্বো ১৯ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তোলে। সুতরাং, শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান দরকার ছিল তাদের। তবে শেষ ওভারে কাসুন রজিথার প্রথম বলে শাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়ে যান বাবর মহম্মদ নওয়াজ ব্যাট করতে নেমে বাবরের লড়াইকে ব্যর্থ হতে দেননি। তিনি ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর ২টি দু’রান নেন।

চতুর্থ বলে ছক্কা ও পঞ্চম বলে চার মেরে কলম্বোকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন নওয়াজ। কলম্বো ১৯.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৮৯ রান তুলে নেয়। ১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা।বাবর ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৮টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে। শেষমেশ ৫৯ বলে ১০৪ রান করে মাঠ ছাড়েন পাক তারকা। পাথুম নিশঙ্কা ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৩ বলে ৮ রান করে আউট হন নুয়ানিদু ফার্নান্ডো।

নওয়াজ ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩ বলে ২ রান করে নট-আউট থাকেন চামিকা করুণারত্নে।তাবরেজ শামসি গলের হয়ে ২৭ রানে ২টি উইকেট নেন। ৪২ রানে ১টি উইকেট নেন কাসুন রজিথা। শাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।