পাকিস্তান ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আট দলের এই আইসিসি টুর্নামেন্ট ভারতে নতুন ভিউয়ারশিপ মানদণ্ড স্থাপন করেছে। মোট প্রায় ২৫০ বিলিয়ন মিনিট দেখার সময়ের রেকর্ড গড়েছে আইসিসি পুরুষদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। যার মধ্যে স্টার স্পোর্টসে ১৩৭ বিলিয়ন মিনিট এবং জিওহটস্টারে ১১০ বিলিয়ন মিনিট দেখা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি ছিল বেশ কয়েকটি স্মরণীয় ম্যাচ, বিশেষ করে ৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ফাইনাল।
এই ফাইনাল ম্যাচে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১২২ মিলিয়ন দর্শক টেলিভিশনে এবং ৬১ মিলিয়ন দর্শক জিওহটস্টারে ম্যাচটি উপভোগ করেছেন। যা ক্রিকেটে ডিজিটাল ভিউয়ারশিপের নতুন রেকর্ড। এটি বিশ্বকাপ ম্যাচ ছাড়া টিভি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়া ওয়ানডে ম্যাচ হয়ে উঠেছে, যেখানে ২৩০ মিলিয়ন দর্শক টিভিতে দেখেছেন এবং টিভি ও ডিজিটাল মাধ্যমে মোট ৫৩ বিলিয়ন মিনিট দেখার সময় রেকর্ড করা হয়েছে।
আইসিসি পুরুষদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-র আরেকটি আলোচিত ম্যাচ ছিল ভারত বনাম পাকিস্তান লিগ পর্বের ম্যাচ। যা ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ দর্শকসংখ্যা পাওয়া ওয়ানডে ম্যাচ হয়ে উঠেছে। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ২৬ বিলিয়ন মিনিটের বেশি টিভি ভিউয়ারশিপ হয়েছিল, যা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিট ভিউয়ারশিপকে টপকে গিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচটি ১০.৮ শতাংশ বেশি টিভি রেটিং অর্জন করেছে, যেখানে ২০৬ মিলিয়ন মানুষ টিভিতে সরাসরি ম্যাচটি উপভোগ করেছেন।রেটিং প্রসঙ্গে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক সরকারি বিবৃতিতে বলেন, ‘৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে, এবং ভারতের দর্শকসংখ্যা অভূতপূর্ব, বিশেষ করে ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচের ভিউয়ারশিপ রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্যতিক্রমী দর্শকসংখ্যা দেখিয়ে দেয় যে, ভারতে ক্রিকেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষায় আইসিসি ইভেন্ট সম্প্রচার করলে তা দর্শকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করতে পারে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিপণন কৌশল অত্যন্ত সফল হয়েছে, যা নতুন ও পুরনো দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে, পাশাপাশি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিল রোমাঞ্চকর ক্রিকেট।’