টেস্টের ইতিহাসে ৩৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফাস্টেস্ট ৯৯ মেরে অজিদের কাঁদিয়ে ইতিহাস বেয়ারস্টোর !

চলতি অ্যাশেজে চতুর্থ টেস্টের লড়াই লড়ছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দল। সিরিজের বাকি তিনটি ম্যাচের মতোই ম্যাঞ্চেস্টারে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের সাক্ষী থাকছেন দর্শকরা। এজবাস্টন এবং লর্ডস টেস্টে হারের পরে লিডস টেস্ট জিতে সিরিজে কামব্যাক করেছে স্টোকস বাহিনী। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ‘ব্যাজবল’ ঘরানার ক্রিকেট যেন একেবারে অন্য ছন্দে ধরা দিয়েছে। আল্ট্রা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন ইংরেজ ব্যাটাররা। আর এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই সিরিজের চতুর্থ টেস্টে এক অনবদ্য নজির গড়ে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের কিপার ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো।

স্পর্শ করেছেন ৩৯ বছরের পুরনো এক নজিরকে।চলতি অ্যাশেজের প্রথম তিনটি টেস্টে ব্যাট হাতে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না জনি বেয়ারস্টো। কিপিংও খুব একটা ভালো হচ্ছিল না তাঁর। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে বারবার দাবি উঠেছিল তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার। যদিও ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট তাতে কর্ণপাত করেনি। তারা চতুর্থ টেস্টেও তাঁকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতি পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন তিনি ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে। এই টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের প্রথম ইনিংসেই টেস্ট ইতিহাসে এক অনন্য নজির গড়ে ফেলেন বেয়ারস্টো।

লাল বলের ক্রিকেটে বল খেলার নিরিখে দ্রুততম ৯৯ রান করলেন জনি বেয়ারস্টো। তিনি স্পর্শ করেন কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলির ৩৯ বছর আগে গড়া নজিরকে। ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে রিচার্ড হ্যাডলি মাত্র ৮১ বলে ৯৯ রান করেছিলেন। আর এদিন ম্যাঞ্চেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮১ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান জনি বেয়ারস্টো। এদিন পার্টনারের অভাবে শতরান পূরণ করতে পারেননি তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১০ টি চার এবং ৪টি ছয়ে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে জনি বেয়ারস্টোর স্ট্যাম্পিং ঘিরেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। দুই দলের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। এমন কী দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এদিকে ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অজিরা। জবাবে ৫৯২ রানের বিরাট স্কোর করে ইংল্যান্ড।

সব মিলিয়ে এই ম্যাচে দেখতে গেলে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমত নাকানি চোবানি খাইয়ে ছেড়ে দিল ইংল্যান্ডের দল।