‘বাংলাদেশের হয়ে খেললে ১০০০ উইকেট পেতাম’, চরম মন্তব্য সাঈদ আজমলের,স্যালুট সারা বাংলাদেশের!

বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বিধ্বংসী স্পিনার ছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সৈয়দ আজমল। ২০১৪ সালে আইসিসি তাঁর বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর ২০১৭ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান।বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁদের বোলিং অ্যাকশনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি (ICC)। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার সৈয়দ আজমলও (Saeed Ajmal)। পাকিস্তানের হয়ে তিনি মাত্র ৭ বছর ক্রিকেট খেলেছেন।

পাক ক্রিকেটকে তাঁর অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে আইসিসি তাঁর বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর ২০১৭ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। সেই সৈয়দ আজমল এ বার এক অবাক করা মন্তব্য করেছেন। তাঁর মনে হয় পাকিস্তানের হয়ে নয়, বরং বাংলাদেশ টিমে খেললে তিনি ১০০০ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারতেন। আর কী কী বললেন প্রাক্তন পাক তারকা? ২০১০এর শুরুর দিকে সৈয়দ আজমলের বোলিং সকলে দারুণ উপভোগ করত। তিনি এক সময় আইসিসি ওডিআই ও টি-২০ ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার হঠাৎ করেই থমকে যায়।

যখন ২০১৪ সালে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা, আইসিসি তাঁর বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সম্প্রতি সৈয়দ আজমল জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয় পাক ক্রিকেট দলের জায়গায় তিনি যদি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে তা হলে ১০০০টি উইকেট নিতে পারতেন। এই বক্তব্যের পিছনে সৈয়দ আজমলের যুক্তি – বিসিবির মতো ক্রিকেট বোর্ড তাদের প্লেয়ার দের জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করে, নিজেদের প্লেয়ারদের জন্য লড়াই করে তাই বাংলাদেশের হয়ে খেললে তার খেলা কখনোই বন্ধ হতো না, বাংলাদেশ বোর্ড তার জন্য লড়াই করতো, আর ১০ বছর খেললেই তিনি ১ হাজারটি উইকেট নিতে পারতেন। পিসিবিতে যা সম্ভব হয়নি।সৈয়দ আজমল জানান, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে প্রায় প্রতি বছরই তিনি ১০০টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘২০১২ থেকে ২০১৪ আমি ৩২৬টি উইকেট নিয়েছিলাম। জেমস অ্যান্ডারসন সে বার সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল। সে বার ওর উইকেট প্রাপ্তি ছিল ১৮৬। এখান থেকেই পার্থক্যটা বোঝা যাবে।’আজমল দাবি করেছেন আইসিসি তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁর বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তিনি বলেন, ‘আইসিসির উচিত ছিল ২০০৯ সালে আমাকে আটকে দেওয়া। কিন্তু ওরা তখন আমাকে খেলার অনুমতি ও সুযোগ দিয়েছিল। এরপর আমি যখন ৪৪৮ উইকেট নেওয়া পূর্ণ করে ফেলি, তখন আইসিসির মনে হয় আমাকে আটকে দেওয়া দরকার। যখন আমাকে ব্যান করা হয়েছিল ওই সময় আমি বিশ্বের এক নম্বর বোলার ছিলাম।’

পাক ক্রিকেট বোর্ড যে সৈয়দ আজমলের পাশে দাঁড়ায়নি তা নিয়ে আক্ষেপ এখনও রয়েছে তাঁর মনে। তাই তার মনে হয় বাংলাদেশ বোর্ড যেভাবে তাসকিনের পাশে দাঁড়িয়েছে তিনি যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন তাহলে তার পাসেও দাঁড়াতো বিসিবি।