নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করল বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ১৮১ রানেই অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। এর ফলে ক্যাপ্টেন নজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক ম্যাচেই ১৫০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। এর ফলে বেশ কিছু রেকর্ড করে ফেলেছে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্নভোজের আগেই নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এরফলে তারা আফগানিস্তান ও জিম্বাবোয়েকে ছাড়া অন্য কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টেস্টে তাদের সবচেয়ে বড় জয় (রানে) নিবন্ধন করেছে।
মাশরাফি মুর্তাজা, শাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের পর অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ী নেতা নজমুল হোসেন শান্ত। এই তালিকায় চতুর্থ বাংলাদেশি খেলোয়াড় হয়েছেন নজমুল হোসেন শান্ত। এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে এ নেন ৬ উইকেট। টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেট নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সিলেটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ১৮৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে ১১৫ রানে ৯ উইকেট নেন। ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী ১৫৬ রান দিয়ে আট উইকেট নিয়েছিলেন।
২০২২ সালে এবাদত হোসেন ১২১ রানে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। তবে সকলকে টপকে যান তাইজুল ইসলাম।২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টের স্মরণীয় জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবার কিউয়িদের তাদের মাটিতে হারানোর কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। সিলেটে প্রথম টেস্টে সফরকারীদের হারিয়েছে ১৫০ রানের ব্যবধানে। অসাধারণ এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তাইজুল ইসলামের। তার ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিন সফরকারীরা ৩৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৩ রানে হারায় ৭ উইকেট। যার চারটি নেন তাইজুল। পঞ্চম দিন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল তিন উইকেটের।
সেখানে মিচেল বেশ কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে ৫০ করেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। নঈম হাসান তাঁকে ৫৮ রানে থামালে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু নবম উইকেটে সাউদি বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কমাতে থাকেন রানের ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত তাকে ৩৪ রানে থামিয়ে জয়টা নিশ্চিত করেন তাইজুল। সব মিলে সিলেট টেস্টে ১০টি নিয়েছেন তাইজুল। নঈম হাসান দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানে নিয়েছেন দুইটি। একটি করে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার বোলার১০/১৮৪- তাইজুল ইসলাম, সিলেট ২০২৩৯/১১৫ – শাকিব আল হাসান, চট্টগ্রাম ২০০৮৮/১৫৬ – সোহাগ গাজী, চট্টগ্রাম ২০১৩৭/১২১ – এবাদত হোসেন, মাউন্ট মাউঙ্গানুই ২০২২