অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল’ বলে কথা। বেনোনির উইলোমুর পার্কে আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটির বাঁক বদলেছে ক্ষণে ক্ষণে। সময়ের তালে তালে ম্যাচের মোমেন্টাম কখনো বাংলাদেশের দিকে, কখনোবা পাকিস্তানের দিকে হেলে পড়ছিল। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে পাকিস্তান। টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
বোলিংয়েই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৪০.৪ ওভারে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় ১৫৫ রানে। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে জানা গেছে, সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশকে ৩৮.১ ওভারে করতে হবে ১৫৬ রান। তাতেই পাকিস্তানের নেট রানরেট টপকে যেতে পারত বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। ৩৬ তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ জিসানকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার মারুফ মৃধা। মৃধা বোল্ড হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পাকিস্তান দল। ৫ রানে জিতে সেমিতে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
৩৮.১ ওভারে ১৫৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিসান আলম দারুণ শুরু করেন। প্রথম ১৫ বলেই বাংলাদেশ করে ২৬ রান। বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে। উবাইদ শাহর বলে খোঁচা দিতে যান জিসান। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন পাকিস্তান উইকেটরক্ষক সাদ বাইগ। ১২ বলে ৪ চারে ১৯ রান করেন জিসান। এক ওভার বিরতিতে এসে আবার উইকেট নিয়েছেন উবাইদ। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানি পেসারের শিকার এবার শিবলি। শিবলি করেন ১১ বলে ৪ রান।
উবাইদের জোড়া ধাক্কায় বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬ রান। উবাইদের জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দশম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান আলি রেজা। ৩০ বলে ৪ চারে ২০ রান করেন রিজওয়ান। প্রথম ৩ উইকেটের প্রত্যেকটি আউটের ধরনই একই রকম। খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। ১০.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ এরপর এগোতে থাকে ধীরেসুস্থে।
স্ট্রাইক রোটেটের পাশাপাশি আহরার আমিন ও আরিফুল ইসলাম বাউন্ডারিও মারতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন আরিফুল ও আহরার। ১৬ তম ওভারের চতুর্থ বলে আহরারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উবাইদ। এরপরই পাকিস্তান যেন বেশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ক্যারিশমা দেখিয়ে দ্রুত তুলে নেয় আরও ২ উইকেট। মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৩ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে পরাজিত করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শিবলী বলেন তিনি এতে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছেন যে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না এবং তিনি কথা দিয়েছেন তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ তলে যখন সুযোগ পাবেন তখন বাংলাদেশ দলের হয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন।