লড়াই করে আফগানিস্তানকে দুরমুশ করে ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ,অবাক সারা বিশ্ব!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিলেটে রশিদ খানের দলের করা ১৫৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। এই ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।রশিদ খানের দলের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।

ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ১২ বলে এক ছক্কায় ১৪ রান।লিটন কুমার দাশ চেষ্টা করেছিলেন শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে। কিন্তু তিনিও ফিরে যান ১৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে। ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। ফরিদ আহমেদের বলে করিম জানাতকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরআগে ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ১৯ রান।

এরপর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারী। দুজনে মিলে মাত্র ৩২ বল গড়েন ৫০ রানের জুটি। আফগান বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। শামিমে ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান। শেষের ওভারে এসে করিম জানাত হ্যাট্রিক করে টাইগার সমর্থকদের মনে শঙ্কা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ১ বল বাকি থাকতেই শরিফুল ইসলাম বাউন্ডার মেরে দলকে ম্যাচ জেতান।হৃদয় ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

আফগানিস্তানে হয়ে তিনটি উইকেট নেন করিম জানাত। একটি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, মুজিবুর রহমান, রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ফরিদ আহমেদ।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় একটা দীর্ঘ সময় ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেট ভক্তদের কাছে।