মেয়েদের ক্রিকেটে ধারে-ভারে ভারতের থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সে ওয়ানডে ফরম্যাট হোক কিংবা টি-২০ ফরম্যাট। দুই বিভাগেই পরিসংখ্যানের বিচারে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন নিগার সুলতানারা।ফলে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যে কোনও জয় যথেষ্ট স্মরণীয়। সেই স্মরণীয় জয়ের তালিকায় যুক্ত হল মীরপুরের বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার তারা তাদের সর্বসাকুল্যে তৃতীয় জয়টি তুলে নিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ তাদের প্রথম জয় পেয়েছিল ২০১৮ সালে। কুয়ালালামপুরে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়টিও ২০১৮ সালেই। এই জয়টা আসে কুয়ালালামপুরে। সেই ম্যাচে তারা জেতে ৩ উইকেটের ব্যবধানে। আর বৃহস্পতিবার মীরপুরে এল তৃতীয় জয়। এদিন ভারতকে তারা হারিয়ে দিল ৪ উইকেটে। গত ম্যাচের খারাপ অভিজ্ঞতাকে দূরে রেখে এদিন জয় তুলে নিতে ভুল করেননি শামিমা সুলতানারা। ম্যাচে ১১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ভারতের দেওয়া ১০৩ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তারা পেরিয়ে যায় মাত্র ১৮.১ ওভারেই। ওপেনার শামিমা সুলতানা এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র ৪৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১৪ এবং সুলতানা খাতুন ১২ রান করেন। আর কোন ব্যাটার দুই অংকের রানে পৌঁছতে পারেনি। অন্যদিকে ভারতীয় দল অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ৪০ এবং জেমিমা রডরিগেজের ২৮ রানে ভর করে ভারত ৯ উইকেটে ১০২ রান করতে সমর্থ হন। যে স্কোর পেরতে গিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করেনি বাংলাদেশ দলে।
যদিও এই ম্যাচ দুই দলের কাছেই ছিল নিয়মরক্ষার। তবে ভারত এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় কিছুটা হালকা মেজাজেই খেলতে নামে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও বুকে বল পেল বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি একটি অনবদ্য জয় সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দল যে ভারতের বিরুদ্ধে আরো জয়লাভ করবে সে রকমই আশা করবে বাংলাদেশের দর্শকরা।