এশিয়া কাপ নিয়ে অবশেষে ঐতিহাসিক সুখবর পেলে বাংলাদেশ!গর্ব সারা বাংলাদেশের!

এশিয়া কাপ নিয়ে শঙ্কার মেঘ কিছুতেই যেন কাটছে না। কবে মাঠে গড়াবে তার থেকে বড় প্রশ্ন এখন কোথায় হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপের আসর। ভারতের আপত্তির মুখে ইতোমধ্যে আয়োজক পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পিসিবির প্রস্তাবে রাজি নয় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ভারত চায় এশিয়া কাপ হোক একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, পাকিস্তান ও অন্য একটি দেশ মিলিয়ে দুই ধাপে নয়। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে, আর তাই নিয়ে বড়ো আপডেট পাওয়া গেল।

সোমবার মিরপুর শেরে-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেট অপরারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, হাইব্রিড মডেলে হলেও খেলতে আগ্রহী বিসিবি, ‘আমরা এশিয়া কাপ খেলতে আগ্রহী। এসিসি থেকে সিদ্ধান্ত আসবে হাইব্রিড নাকি হাইব্রিড না। যে মডেলেই হোক আমরা খেলতে আগ্রহী।’তবে এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর সব সিদ্ধান্ত এখন এসিসির সেটা নিশ্চিত করলেন বোর্ডের এই কর্তা, ‘এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারব এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ তবে এক্ষেত্রে একটা জায়গা রয়েছে যেখানে কিন্তু খেলতে চাইছে না বিসিবি, এই বিশেষ একটি জায়গায় খেলতে রাজি নয় বাংলাদেশ।

শেষ পর্যন্ত যে মডেলের খেলাই হোক এশিয়া কাপ খেলতে আগ্রহী বাংলাদেশ দল। যদিও হাইব্রিড মডেলে রাজী হলেও দুবাইতে খেলতে অস্বস্তি বিসিবির। নিজেদের অস্বস্তির কথা পরিষ্কার করেছেন জালাল, ‘আমরা তো আগেও বলেছি এত গরমের ভেতর ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলা খুব কঠিন। কারণ আমরা গতবার দেখেছি এই সময় আমরা টি-টোয়েন্টি খেলেছি, এমনকি দেখা গেছে রাত ৯টার আগে আমরা অনুশীলন করতে পারতাম না, প্রচণ্ড গরমের জন্য। অস্বস্তি তো থাকবেই।’

বাংলাদেশের চোখ এখন বিশ্বকাপে, ‘আমরা যখন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি ২০২৩ বিশ্বকাপে, অক্টোবরে। সেটার জন্য যতটা প্রস্তুতি দরকার, যতটা সতর্ক থাকা দরকার সেভাবে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। সেজন্যই চাচ্ছিলাম না ওখানে (দুবাই)। যদি অন্য কোন দেশে হয় ভালো হয়। আমাদেরকে এসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।’

সব মিলিয়ে এখন এশিয়া কাপের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হলেও বাংলাদেশ যে খেলবেই, সেটা পরিষ্কার।