রাহুল একজন সফল যুবক, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সে কাজের জন্য দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়ে যায় আরশির সঙ্গে, যে মনে করে যে আনন্দ ও খুশিতে ভরা জীবন কাটানোই তার ভবিতব্য এবং তা সম্ভব ‘হবু’ এনআরআই রাহুলকে বিয়ে করলে। অন্যদিকে ঝনকের সঙ্গে রাহুলের আলাপ হয় বিয়ের আগে করা কাশ্মীরের একটি ট্রিপে। কিন্তু নিয়তির খেলা এমন যে রাহুল ও ঝনক একে অপরকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। ধীরে ধীরে ঝনকের প্রতি রুষ্ট হতে শুরু করে আরশি, যদিও তাদের কারও কোনও দোষ নেই। ঝনকের জীবন বেশ জটিল ও কঠিন, তা সত্ত্বেও সে জীবনে এগিয়ে যেতে ও উন্নতি করতে চেষ্টা করে। কিন্তু এই ‘অসম্ভব’ বিয়ে সবটাই ঘেঁটে দেয়। সে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না, তার রাহুলের প্রতি কী মনোভাব, একই অবস্থা হয় রাহুলেরও।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝনক জীবনে উন্নতি করবে। আরও ভাল শিল্পী হয়ে উঠবে ও নাম করবে। নিজেকে তো বটেই, প্রয়াত মায়ের নামও উজ্জ্বল করবে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও নিজের জীবনসঙ্গী, রাহুলের ভালবাসা পাবে না। অবশেষে কী হবে? রাহুলের মন কি সে কখনও জয় করতে পারবে? তারা কি সুখে সংসার করতে পারবে কখনও? নাকি রাহুল চিরকালই আরশিকেই নিজের মনে রেখে দেবে? উত্তর দেবে ধারাবাহিক। আসছে ‘ঝনক’।
সোহিনী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু দাবি করেছিলেন তিনি এখন সিঙ্গল। তবে টেলিপাড়ায় গুঞ্জন ছিল যে রণজয় নাকি মন দিয়ে বসে আছেন তাঁরই সিরিয়ালের নায়িকা শ্যামৌপ্তি মুদলিকে। যদিও এই গুঞ্জন নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন রণজয়। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বলছে অন্য কথা। দুজনেই এখন কলকাতায় নেই। শহর ছেড়ে রণজয়-শ্যামৌপ্তি পাড়ি দিয়েছেন লাদাখে। তাহলে কি একান্তে সময় কাটাতেই শহর ছাড়লেন গুড্ডি জুটি?রণজয় বিষ্ণুর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি লাদাখে রয়েছেন এখন।
অপরদিকে, শ্যামৌপ্তিও যে লাদাখের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন, তারও ঝলক রয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে। দুজনে কি তবে ঘুরতে গিয়েছেন? আসলে বিষয়টা সেটা নয়। জানা গিয়েছে, গুড্ডি জুটি একটা মিউজিক ভিডিও শ্যুট করতেই লাদাখে পৌঁছেছিলেন। আর তার জন্যই দুজনকে লাদাখে দেখা গিয়েছে। রণজয়ের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও দেখা গিয়েছে, মিউজিক ভিডিও শ্যুটিংয়ের ঝলক।
প্রসঙ্গত, গুড্ডি সিরিয়ালে রণজয়-শ্যামোপ্তির জুটি দর্শকদের ভীষণভাবে পছন্দ হয়েছিল। এই সিরিয়ালে তাঁদের দুজনের রসায়ন এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। সোহিনীর সঙ্গে ব্রেকআপের পরই শোনা গিয়েছিল যে হয়তো শ্যামোপ্তির সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন রণজয়। তবে সেটা যে একেবারেই সত্যি নয়, তা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা। ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিক শেষ হতেই ‘ঝনক’-এর শ্যুটিং করতে কাশ্মীরেও পাড়ি দিয়েছিলেন রণজয় ও শ্যামৌপ্তি। সেই সময় রণজয় জানিয়েছিলেন যে তিনি আর শ্যামৌপ্তি শুধুই ভাল সহকর্মী। এমনকী বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই দুজনের মধ্যে। শ্যামৌপ্তির সঙ্গে রণজয়ের বয়সের ফারাক অনেকটাই। অভিনেতার কথায়, নায়ক-নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এর আগে কোন গোপনে মন ভেসেছে সিরিয়ালে রণজয়ের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মিশমি দাসের। বিষয়টি নিয়ে এতটাই চর্চা হয়েছিল যে বাধ্য হয়ে রণজয়-মিশমি দুজনে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লাইভ ভিডিও করে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সকলের কাছে খোলসা করে জানান। এই সিরিয়ালে রণজয় ও মিশমি ভাই-বোনের চরিত্রে রয়েছেন।
সামনেই সোহিনী-শোভনের বিয়ে, তবে সে নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন রণজয়। বরং নিজের কাজ নিয়েই মগ্ন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি-ভিডিও মেয়েদের মনে আলোড়ন তোলে। আপাতত, লাদাখে মিউজিক ভিডিওর কাজ শেষ করে কলকাতায় ফিরে শ্যুটিংয়ে মন দেবেন রণজয়।