স্যান্তোসের কোচিংয়ে পর্তুগাল ২০১৬-য় ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেটাই ছিল পর্তুগালের প্ৰথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়। ২০১৯-এ উয়েফা নেশনস লিগের খেতাবও জিতিয়েছিলেন দেশকে। মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় ঘটেছে পর্তুগালের। তারপরেই গত শনিবার কাতার ছেড়েছিল পর্তুগিজ দল।শক্তিশালী স্কোয়াডের বিচারে এবার পর্তুগাল বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট ছিল। গ্রুপ পর্বের প্ৰথম দুই ম্যাচেই নিজেদের জাত চিনিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। শেষ ষোলোয় রোনাল্ডো বিহীন পর্তুগাল সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল।তবে আচমকা টুর্নামেন্টের বহু অঘটন ঘটিয়ে দেওয়া মরক্কোর হাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় তারকা খচিত দলের। আর তার অন্যতম কারণ ছিল রোনাল্ডকে না খেলানো।
পর্তুগালের বিশ্বকাপ বিদায়ের পর পাঁচ দিনও কাটল না। জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ফার্নান্দো স্যান্টোস। টানা আট বছর পর্তুগালের জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন। কাতার বিশ্বকাপ লিখে দিল তাঁর শেষ অধ্যায়।পর্তুগাল ফুটবল সংস্থার তরফে এই খবর কনফার্ম করা হয়েছে। আরও দু-বছর চুক্তির মেয়াদ ছিল। তবে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে চুক্তি শেষের দু-বছর আগেই দায়িত্ব ছাড়লেন।
ফুটবল সংস্থার তরফে এখনই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, নতুন কোচের সন্ধান শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নতুন কোচ কীভাবে ম্যানেজ করবেন জাতীয় দলের সেট আপে, সেটা এখন দেখার। শেষ ষোলো বছর ধরে পর্তুগালের হয়ে পাঁচ-পাঁচটি বিশ্বকাপের সংস্করণে অংশ নিয়েছিলেন রোনাল্ডো। পর্তুগালের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের মালিককে নক-আউট পর্ব থেকেই বেঞ্চে বসিয়ে দেন ফার্নান্দো স্যান্টোস।
সুইজারল্যান্ড ম্যাচে নতুন প্রজন্মের পর্তুগিজ তারকারা ঝলসে উঠে দলকে দুর্ধর্ষ জয় এনে দেন। মরক্কোর বিরুদ্ধেও রোনাল্ডোকে শুরু একাদশে নামাননি স্যান্টোস। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর রোনাল্ডো ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখে দেন, তাঁর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে কবে অবসর নেবেন, সেই বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি মহাতারকা।