জোহানেসবার্গেও তার অন্যথা হয়নি। সূর্যকুমার যাদব সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন পথে হাঁটেন। যার ফলে তৈরি হয় এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত। আসলে সূর্যকুমার ট্রফি প্রেজেন্টারের হাত থেকে নিজে সিরিজ জয়ের ট্রফি নেননি। বরং তিনি হাত ধরে তাঁকে টেনে নিয়ে যান ফটো সেশনের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় দলের মাঝখানে।
তিনি প্রেজেন্টারকে রমনদীপ সিং, যশ দয়াল ও বিজয়কুমার বৈশাকদের কাছে নিয়ে যান এবং তাঁদের হাতে ট্রফি তুলে দিতে বলেন। সূর্যর কথামতো প্রেজেন্টার রমনদীপের হাতে ট্রফি দিয়ে ছবি তোলার জন্য পোজ দেন। তবে ট্রফি দেওয়ার পরেই তাঁর সরে আসা উচিত ছিল, যাতে ভারতীয় দল সেলিব্রেশনে মাততে পারে। তবে তিনি কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করেন ভারতীয় দলের মাঝে। ফলে ট্রফি নেওয়া মাত্রই উচ্ছ্বাসে মাতার সুযোগ হয়নি টিম ইন্ডিয়ার।
প্রেজেন্টারকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোখে মুখে সংশয়ের ভাব ফুটে ওঠে। আর্শদীপ সিং হাতের ইশারায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন। হার্দিক পান্ডিয়াও বুঝতে পারছিলেন না কী চলছে। যদিও খুব বেশিক্ষণ এমন পরিস্থিতি স্থায়ী হয়নি। ট্রফি প্রেজেন্টার সরে যেতেই শুরু হয়ে যায় ভারতীয় দলের সেলিব্রেশন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জোহানেসবার্গে সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে টিম ইন্ডিয়া। শুরুতে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৩ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
রোহিতদের ঠিক যেভাবে ফটো সেশনের সময় একধারে গিয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়, সূর্যকুমার যাদবও সেই পথ অনুসরণ করেন। তিনি সরে যান একধারে। তরুণ ক্রিকেটারদের উপর যাতে স্পটলাইট থাকে, তাই তাঁদের রাখা হয় মাঝখানে।
জো’বার্গের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে তিলক বর্মা ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকাতে খরচ করেন ৪১টি বল। সাহায্য নেন ৬টি চার ও ৯টি ছক্কার। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ১২০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিলক। তিনি মোট ৯টি চার ও ১০টি ছক্কা মারেন।