আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ঝলমলে পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার সুফল পেলেন মুমিনুল হক। শুধু মমিনুল নয়, তার পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্ত ও দুরন্ত পারফরমেন্স দিয়ে প্রভূত উন্নতি করেছে। শান্তর উন্নতি হয়েছে ২৫ ধাপ। মুমিনুল এগিয়েছেন ১৭ ধাপ।বুধবার ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। টেস্টের ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার শান্ত ও মুমিনুল। মুমিনুল উঠেছেন ৫৩ নম্বরে। শান্ত দখল করেছেন ৫৪তম স্থান।
গত শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাড়ে তিন দিনেরও কম সময়ে আফগানদের ৫৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। টেস্টে রানের ব্যবধানে এটাই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে কোনো টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়েন ম্যাচসেরা শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ১২৪ রান।বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার শান্তর পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুলও।
১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। টেস্টে এটি বাঁহাতি অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২৬ ইনিংস পর শতরানের স্বাদ নেন তিনি। টেস্টের বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে ৭১ নম্বরে আছেন তিনি। ডানহাতি পেসার ইবাদত হোসেন এগিয়েছেন তিন ধাপ। তিনি আছেন ৬২ নম্বরে। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নেন ১ উইকেট।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের উন্নতি হয়েছে দুই ধাপ। তিনি উঠেছেন ২৫ নম্বরে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি দখল করেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় তিনি পান ২ উইকেট। টেস্টের ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মধ্যে শীর্ষে আছেন লিটন দাস।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেওয়া ডানহাতি ব্যাটার আছেন ১৮ নম্বরে। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটার মধ্যে সবার উপরে আছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার অবস্থান করছেন ২১ নম্বরে।