এছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৭ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। শার্দুল ঠাকুর করেন ১৮ রান। ক্যাপ্টেন রাহানে ১৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। সার্ভিসেসের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন নীতীন যাদব ও পুলকিত নারাং।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৮৮ রান। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪৮ রানের লিড পেয়ে যায় মুম্বই। ওপেনার আয়ুষ মাত্রে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। রঞ্জির ৫ ম্যাচে ১৭ বছরের আয়ুষের এটি দ্বিতীয় শতরান। এছাড়া তিনি ১টি হাফ-সেঞ্চুরিও করেন। এই ম্যাচের পরেই চেন্নাই সুপার কিংসের ট্রায়ালে উড়ে যাওয়ার কথা আয়ুষের।
দিল্লির পালাম-এ গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সার্ভিসেস। তারা ২৪০ রান তুলে প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়। শুভম রোহিল্লা ৫৬ ও মোহিত আলাওয়াত ৭৬ রান করেন। ক্যাপ্টেন রজত পালিওয়াল ৩১ রানের যোগদান রাখেন। মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ২টি করে উইকেট দখল করেন মোহিত আবস্তি ও শামস মুলানি।
চতুর্থ ম্যাচে ওড়িশাকে ইনিংসে হারিয়ে বোনাস-সহ ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেন অজিঙ্কা রাহানেরা। এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সার্ভিসেসকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয় মুম্বই। ৫ ম্যাচে ৩টি জয়-সহ সাকুল্যে ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমে এবছর রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই বরোদার কাছে হারতে হয় মুম্বইকে। তবে সেই হারের ধাক্কা সামলে উঠতে বেশি সময় লাগেনি রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসের সব থেকে সফল দলের।
মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে সরাসরি জয়ে ৬ পয়েন্ট তুলে নেয় মুম্বই। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচ ড্র করেন রাহানেরা। তবে ফার্স্ট ইনিংস লিডের সুবাদে ৩ পয়েন্ট ঘরে তোলে মুম্বই।