রথী-মহারথীরা ব্যর্থ, গল টেস্টে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে নিয়ে যেরকম অতিমানবিক লড়াই চালালেন সউদ শাকিল, তাকে কুর্নিশ জানানো ছাড়া উপায় নেই। শাকিলের অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে চালকের আসনে পাকিস্তান। অথচ একসময় ছবিটা মোটও সুবিধাজনক ছিল না বাবর আজমদের কাছে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩১২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ১০১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২২১ রান। পাকিস্তানের তরফ থেকে তারপরে লড়াই শুরু করেন সউদ শাকিল।
সউদ সাকিল ৬৯ ও আঘা সলমন ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলা শুরু করে পাকিস্তান আঘা সলমনের উইকেট হারায় শুরুতেই। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৩ বলে ৮৩ রান করে মাঠ ছাড়েন সলমন। তবে লড়াই চালিয়ে যান শাকিল। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকানো সউদ ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২৯ বলে। তিনি ১৫০ রানের গণ্ডি টপকান ২২২ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি বাউন্ডারির।
অপর প্রান্ত দিয়ে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকায় শাকিল ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করার সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় একসময়। শেষমেশ ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান আব্রার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যক্তিগত দ্বিশতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি। সেই সঙ্গে দলকে সাড়ে চারশো রানের গণ্ডি পার করান। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ১২১.২ ওভার ব্যাট করে ৪৬১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬১ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন শাকিল। টেস্ট কেরিয়ারের ৬ নম্বর ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি এই নিয়ে দ্বিতীয় শতরান তথা প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। স্বাভাবিকভাবেই এটি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
উল্লেখ্য, সউদ শাকিলের ডাবল সেঞ্চুরি ও আঘা সলমনের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে আবদুল্লা শফিক ১৯, শান মাসুদ ৩৯, বাবর আজম ১৩, সরফরাজ আহমেদ ১৭ ও নউমান আলি ২৫ রান করেন।শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।
১৪৫ রানে ৩টি উইকেট নেন জয়সূর্য। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৪৯ রানের বড়সড় নিড নেয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে বিনা উইকেটে ১৪ রান তুলে।