অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি বেড়েছে চায়ের দামও। কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে তিন টাকার চা। কোথায় রয়েছে এই দোকান, বিক্রেতার আয় কত? জেনে নিন বিস্তারিত
চায়ের তেষ্টা! কিন্তু, অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি বাড়ছে চায়ের দাম। ফুটপাথের কোনও দোকান থেকেও চা কিনতে গেল খরচ পড়ে কমপক্ষে ৫ টাকা। উর্ধ্বমাত্রা বেলাগাম। কিন্তু, খাস কলকাতায় এখনও পাওয়া যায় তিন টাকার চা। ঠিকানা- এসপ্ল্যানেড। সেখানেই ফুটপাতের ধারে চায়ের দোকান অরুণ কুমার সিংয়ের। সাত হাজার-ছয় হাজার টাকা বেতন পাওয়া মধ্যবিত্তের কথা ভেবে আজও তিন টাকায় চা বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু, দামের ছ্যাঁকায় লকডাউনের পর দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন অরুণ কুমারও। আগে ৮০ ML চায়ের দাম লকডাউনের পর বেড়ে হয়েছে চার টাকা।
এখনও তিন টাকার চা, কারণ…
অরুণ কুমার বলেন, “বিহারের বাসিন্দা হলেও চার বছর থেকে আমি কলকাতায় এসেছি। চায়ের দোকান চালাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরেই। আমার এখানে লকডাউনের আগে পর্যন্ত চায়ের দাম ছিল তিন টাকা। কিন্তু, পরে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় আমি আর পেরে উঠছিলাম না। দোকানে আরও একজন সহকর্মী রয়েছে। তাঁকে নিয়মিত বেতন দিয়ে হয়। তাই ৮০ ML চায়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এক টাকা। তবে দোকানে এখনও ছোট কাপে ৩ টাকায় চা পাওয়া যায়।” অন্যান্য দোকানগুলিতে যখন ৫ টাকার নীচে চা পাওয়া যায় না সেই সময় কেন এত অল্প খরচে চা বিক্রি করেন তিনি?
এই প্রসঙ্গে অরুণ কুমার বলেন, “অনেক মধ্যবিত্ত যাঁদের মাসিক বেতন ছয়-সাত হাজার তাঁরা এখানে আসেন চা খেতে। যদি দাম বাড়িয়ে দিই সেক্ষেত্রে তাঁরা আর বর্ধিত দাম দিয়ে চা কিনতে পারবেন না। আর সেই কারণেই আমি দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
চা বিক্রি করে কত টাকা উপার্জন হয়?
কম দামে ‘ভালো মানে’-র চা পেতে এই দোকানে কার্যত উপচে পড়া ভিড় হয়। মাসে কত টাকা লাভ করেন অরুণ কুমার?
এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে অরুণ কুমার বলেন, “শীতকালে প্রায় ১৫০০ কাপ চা বিক্রি হয়। গ্রীষ্মকালে ৮০০ থেকে ৯০০ কাপ। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম তাঁর মাসে আয় ৮১ হাজার টাকা। শীতকালে সেই আয় লাখ ছাড়ায়। অবশ্য এর মধ্যে থেকেই দোকান চালানোর খরচও তুলতে হয় অরুণকে। তিনি বলেন, “প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লিটার দুধ কিনতে হয়। পাশাপাশি দোকানে এক সহকর্মীও রয়েছে। বেতন দিতে হয় তাঁকেও।”