চার-ছক্কার বন্যা,ডি ভিলিয়ার্সের মত অনবদ্য ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়লেন সেই জ্যাক ক্যালিস !

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা সতর্কভাবে করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মেঘলা আবহাওয়া ও হিমেল হাওয়ায় তখন বেশ ভাল বোলিং করছিলেন আইরিশ বোলাররা। ৪ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২২ রান। তবে এরপরই হাত খোলেন যশস্বী ও রুতুরাজ। পরের ২ ওভারে ২৩ রান যোগ করেন দুজনে।

তবে ক্রেগ ইয়ংয়ের এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। পরপর ২ বলে ফিরে যান যশস্বী (২৪ রান) ও তিলক বর্মা (০)।৬.৫ ওভারে ভারতের রান ৪৭/২, তখনই বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ভারতকে ২ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।সপ্তম উইকেটে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়লেন ম্যাকার্তি-ক্যাম্ফার। ভারতের বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টিতে কোনও দলের করা সপ্তম উইকেটে তৃতীয় সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ ছিল এটি।

এছাড়াও ব্যারি ম্যাককার্থি বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট নম্বর বা তার নীচে নেমে ব্যাট করে অর্ধশতরান হাঁকান গতকাল।গতকাল প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৯ রান নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এত রান ওঠারই কথা ছিল না। মাত্র ৫৯ রান বোর্ডে তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল আইরিশরা। কিন্তু সেখান থেকে জুটি বাঁধেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও ব্যারি ম্যাকার্থি। দু জনে মিলে দলের স্কোরবোর্ডে একশোর গণ্ডি পার করে দেন।

ক্যাম্ফার ৩৩ বলে ৩৯ রান করে অর্শদীপের বলে বোল্ড হয়ে যান। তবে চারটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কার সহায্যে কেরিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান হাঁকান ম্যাকার্থি। ৩৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন এই আইরিশ অলরাউন্ডার।