এশিয়া কাপে মরন-বাঁচন লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুরন্ত পারফর্ম করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগান বোলারদের চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে একই ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ-শান্ত দুইজনই। লাহোরে রবিবার আফগানদের বিপক্ষে শতক হাঁকানো মিরাজ-শান্তকে নিয়ে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক।আফগানদের লক্ষ্য দিতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলেন শান্ত-মিরাজ জুটি। ১০৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ বছর পর আরেক দফা ওপেন করতে নেমে বাজিমাত করেন মিরাজও।
দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়ে নিজেও হাঁকান সেঞ্চুরি। আঙুলের চোটে মাঠ ছাড়ার আগে মেহেদী মিরাজ খেলেন ১১৯ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ১১২* রানের ইনিংস। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১৯০ বলে ১৯৪* রান।ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের স্মৃতি টেনে মিরাজকে নিয়ে কার্তিক বলেন, ‘আমার মতে মিরাজের সব থেকে বড় দক্ষতা ব্যাটিং কিংবা বোলিং নয়। তার সবচেয়ে বড় দক্ষতা হলো চাপ নিতে পারা। আমি সেটা দেখেছিলাম ভারতের বিপক্ষে (গত বছর) সিরিজের শেষ ম্যাচে। সে ভারতের জয়ের পথে (বাধা হয়ে) দাঁড়িয়েছিল এবং বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। এটা সে এক-দুইবার নয় প্রায়ই করে থাকে।’
‘সে একজন কোয়ালিটি অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে উঠছে। কিছু ক্ষেত্রে অনুসারে সে সম্ভবত সাকিবের জায়গা নেয়ার সঠিক পথেই রয়েছে। যেভাবে সাকিব এক সময় পাঁচ নম্বর পজিশনে এসে ব্যাটিং করত এবং নিজের পারফরম্যান্স দেখাতো।’ গেলো বিপিএলের পর খোলস পাল্টাতে শুরু করে নেন শান্ত। মে মাসে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়ে এর আগে মান বাঁচিয়ছিলেন শান্ত। রবিবার, আবারও ত্রাতা হয়ে ফিরেন শান্ত।শান্তর ব্যাটিং নিয়ে কার্তিকের ভাষ্য , শান্তকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি। আমি বাংলাদেশে ক্লাব ক্রিকেট (ডিপিএল) খেলতে গিয়েছিলাম।
আমরা একই দলের হয়ে খেলেছি। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছে। সে জানত তার প্রতিভা আছে। বর্তমানে সেই প্রতিভাকে সে পারফরম্যান্সে রূপান্তরিত করেছে। হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে পারফর্ম করতে পারেনি।’তার পরিসংখ্যানই কথা বলছে, ২০২৩ সালে সে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। তার সবসময় স্কিল ও টেকনিক ছিল।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছে। তার পরিসংখ্যানও বলছে যে সে আসলে কী করতে পারে।’সব মিলিয়ে বাংলাদেশ যে ইতিমধ্যেই এশিয়া কাপের সুপার উঠে গেছে এই বিষয়টা রীতিমতো কনফার্ম। এখন বাংলাদেশ এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এ ভারতের মুখোমুখি হবে নাকি পাকিস্তানের সেটাই দেখার।