আইপিএলের মতো মারকাটারি টুর্নামেন্টেও ২০ ওভারে ১৭০ রানের গণ্ডি টপকানো কঠিন মনে হয়। তবে যদি ১০ ওভারেই কোনও দল তেমন কৃতিত্ব অর্জন করে, ক্রিকেটপ্রেমীদের অবাক হতে হয় বইকি! ইসিএস সুইজারল্যান্ডে ঠিক এমনই কাণ্ড ঘটায় জুরিখ ক্রিকেটস। তারা টি-১০ ম্যাচে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অর্থাৎ, ওভার প্রতি জুরিখ ক্রিকেটস সংগ্রহ করে ১৭.১ রান।শুক্রবার টুর্নামেন্টের ২২তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে জুরিখ ক্রিকেটস ও জুরিখ নোম্যাডস। প্রথমে ব্যাট করে জুরিখ ক্রিকেটস রানের পাহাড়ে চড়ে ফিরদৌস রহিমির ধ্বংসাত্মক ইনিংসে ভর করে।
নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ফিরদৌস। তিনি ৭টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে মাত্র ১৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেষ ১টি চার ও ১৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৯৪ রান করে আউট হন ফিরদৌস।ওপেনার সাহিল তারাখিল ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। তিনি নিশ্চিত অর্ধশতরান মাঠে ফেলে আসেন। এছাড়া নিকোলাস হেনডারসন ১৭ ও নওরোজ জবরখিল ৯ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি নূরখান আহমেদি, খালিদ নিয়াজি ও আবিদ বারেকজাই।নোম্য়াডসের হয়ে ৩০ রানে ২টি উইকেট নেন আমজাদ রহমানি। ৩১ রানে ১টি উইকেট নেন আমজাদ আহমেদ।
উইকেট পাননি ফহিম নাজির, তরণীধরন, আজিম নাজির ও নাসরাতউল্লাহ মুমাজাই।জবাবে ব্যাট করতে নেমে জুরিখ নোম্যাডস ৯.৪ ওভারে ১২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪২ রানে ম্যাচ জেতে জুরিখ ক্রিকেটস। নোম্যাডসের হয়ে সব থেকে বেশি ২৭ রান করেন জাভেদ দানিশ। ১৪ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ২৩ রান করেন হাসান আহমেদ। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২১ রান করেন তরণীধরন। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৬ রানের যোগদান রাখেন ফহিম নাজির।দেখুন ভিডিও :
কাতিল জাবিউল্লাহ ৬, আজিম নাজির ১১, কাসিম চৌধরী ৯, আমজাদ রহমানি ৬ ও জিয়াউল্লাহ অমরখেল ১ রান সংগ্রহ করেন। খাতা খুলতে পারেননি নাসরাতউল্লাহ মুমাজাই ও আমজাদ আহমেদ। জুরিখ ক্রিকেটসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সাহিল তারাখিল, ফিরদৌস রহিমি ও সাহাবউদ্দিন জাজাই।
১টি করে উইকেট নেন খালিদ নিয়াজি ও ফারহাদ মোমান্দ।ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯.৪ ওভারে মোট ৩০০ রান ওঠে। দু’দলের ব্যাটাররা মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাকুল্যে ৩৫টি।