চার দিনের শেষ আনঅফিসিয়াল টেস্ট। হয়তো আফসোস থেকে গেলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। স্বীকৃত টেস্টের মতো খেলা পাঁচ দিনের হলে সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে হারিয়ে দিতো তারা।সিলেটে ৪৬১ রানের লক্ষ্যে শেষ দিন খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশের দলটি। আগের দিন শেষ করেছিল বিনা উইকেটে ৪৭ রানে। চতুর্থ দিন ২২ গজে দাপট দেখালো তারা, বিশেষ করে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। প্রথমজন করেছেন সেঞ্চুরি, পরের জন হাফ সেঞ্চুরি। আর এই দুরন্ত সেঞ্চুরি দিয়ে অনবদ্য বিশ্ব রেকর্ড করলেন মাহমুদুল হাসান জয় ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অ্যান্ডারসন ফিলিপকে টানা দুটি চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। ফিলিপ নিজের ১১তম ওভারের শেষ দুটি বল করেন শর্ট লেন্থে। ওই দুই বলেই মিডউইকেটের দিকে সজোরে ব্যাট চালান বাংলাদেশ ওপেনার। তাতে ২২৩ বলে তিন অঙ্কের ঘর ছুঁতে সক্ষম হন তিনি। তার সেঞ্চুরির ইনিংসে আছে ১৪টি চারের মার।
২২৩ বলে জয় পেয়ে যান সেঞ্চুরি, ইয়াসির ৫৮ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। নতুন বল নেওয়ার আগেই ১১৭ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। ইয়াসির ৮৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬৭ রানে আউট হন। বাকি সময় শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে পার করে দেন জয়। ২৬৮ বলে ১৪ চারে সাজানো ছিল তার ১১৪ রানে অপরাজিত ইনিংস, ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার। ৩৯ বলে ২০ রানে খেলছিলেন শাহাদাত।ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে অলআউট হয়। জবাবে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ২২০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে উইন্ডিজ। বিশাল লক্ষ্যে নেমে শক্ত জবাব দেয় স্বাগতিকরা।
৪ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩০৬ রান তোলার পর ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় ম্যাচটি হয় ড্র, তাতে তিন টেস্টের সিরিজ ১-০ তে জিতেছে উইন্ডিজ।জাকির হাসানের সঙ্গে জয়ের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ৯৩ রানে। জাকিরকে (৪৩) মাত্র সাত রানের জন্য ফিফটি করতে দেননি কেভিন সিনক্লেয়ার। ৯৫ বলের ইনিংসে এই ওপেনারের চার ছিল ৬টি।
মুমিনুল হক প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও ৫ রানেই থামেন। অধিনায়ক সাইফ হাসান (৩৮) আরেকবার ত্রিশের ঘরে গিয়েও চল্লিশে পৌঁছাতে ব্যর্থ। জয়ের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান তিনি।এরপর ইয়াসির ও জয়ের জমে যাওয়া জুটি।