প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাজের ভার কমাতে সহকারী কোচ নিক পোথাসকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। আয়ারল্যান্ড সিরিজে যোগ দেওয়ার এবার আফগানিস্তান সিরিজ সামনে রেখে প্রি-সিরিজ প্রস্তুতি ক্যাম্প চালাচ্ছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ তার অল্প কদিনের উপস্থিতিতে টের পাচ্ছেন, এখানকার সবাই আসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তাতে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছেন তিনি।এপ্রিলের শুরুতে দুই বছরের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে পোথাসকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।
প্রধান কোচের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও ব্যাটিংয়ের দিকটা দেখবেন তিনি।নিয়োগের পর প্রথম দায়িত্ব হিসেবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন পোথাস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে কাজ করেছেন দলের সঙ্গে। এবার ঢাকায় এসে ২৯ মে থেকে প্রি-সিরিজ ক্যাম্প চালাচ্ছেন।বৃহস্পতিবার (১ জুন) প্রথম হাজির হলেন গণমাধ্যমে। শুরুতেই জানালেন গত প্রায় এক-দেড় বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, যার ফলে বিসিবির প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে সহজ। তিনি বলেন…
‘এটা খুব একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল না (বাংলাদেশের চাকরি নেওয়া)। আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট পর্যবেক্ষণ করেছি গত এক বছর বা ১৮ মাস। দলের ভেতর যে পরিমাণ সামর্থ্য আছে তা দেখে আমি রোমাঞ্চিত। গত ৬-৮ মাসে তারা খুবই ভালো করছে।’দায়িত্বের দ্বিতীয় পরীক্ষায় ঘরের মাঠে আছে আফগানিস্তান সিরিজ। আফগান স্পিনারদের পাশাপাশি পেস আক্রমণকেও আমলে নিয়ে ব্যাটারদের তৈরি করছেন পোথাস। তবে মূল লক্ষ্য সবার বিশ্বকাপে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে দল কেমন করে তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ প্রবল।
ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেটার সবাই এই বিশ্বকাপ নিয়ে দেখছেন বড় স্বপ্ন। বাংলাদেশে এসেই এটা টের পেয়েছেন তিনি, ‘সব দেশই বিশ্বকাপের জন্য খেলবে, আমার মনে হয় না আমরা ব্যতিক্রম। এই দল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, খেলোয়াড়রা সবাই অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমরা বিশ্বকাপে নিজেদের গর্বিত করতে চাই। কে জানে বিশ্বকাপে আপনাকে কি দেয়?’
বড় মঞ্চে ফলাফল কি হবে তা নিয়ে অবশ্য না ভেবে সম্ভাব্য সেরাটা দিতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান পোথাস, ‘যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। যতখানি সম্ভব আমরা প্রস্তুতি নিতে চাই। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে গবেষণা করব। নিজেদের সেরাটা দিব। যেকোনো খেলার বিশ্বকাপে আপনি এসবই করতে পারেন। আমরা যদি নিজেদের নিয়ে ভাবি তাহলে সব ঠিকঠাক হবে।’