ফখরের তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ডকে দুরমুশ করে ভারতের ঐতিহাসিক রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললো পাকিস্তান!

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ ড্র হওয়ায়, পাকিস্তানের প্লেয়ারদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তবে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে, নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিলেন পাক ক্রিকেটাররা।বৃহস্পতিবার ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।একই প্রতিপক্ষে বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন মাসের ব্য়বধানে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকালেন ফখর জামান। সেই সঙ্গে তারা স্পর্শ করল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক রেকর্ড।

৫০০ ওডিআই জয়ের মাইলস্টোন।অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের পর পাকিস্তানই তৃতীয় টিম, যারা ৫০০ ওডিআই জয়ের নজির গড়ল। গত জানুয়ারিতে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পাকিস্তান হেরেছিল ২ উইকেটে। এ বার রাওয়ালপিন্ডিতে ফখর করলেন আরও একটি সেঞ্চুরি। এ বার বদলে গেল ফলটা। জয় পেল পাকিস্তান। এর মাঝে পাকিস্তান ওয়ানডে খেলেনি, ফখর তাই সেঞ্চুরি পেলেন টানা দুই ম্যাচে।ফখরের ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসের হাত ধরেই নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান সহজেই পার করে ফেলে। আর ফখরের এই সেঞ্চুরিতে ম্লান হয়ে যায় ড্যারেল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও।

রান তাড়া করতে নেমে ফখরের সঙ্গে ইমাম-উল-হকের ১২৪ রানের ওপেনিং জুটিই নিউজিল্যান্ডকে অনেকটা পেছনে ফেলে দেয়। ২২তম ওভারে সেই জুটি ভাঙেন ইশ সোধি, ৬৫ বলে ৬০ রান করা ইমামকে এলবিডব্লু করেন। ইমাম ফেরার পর বাবর আজমকে নিয়ে ফখর গড়েন ৯০ রানের জুটি। ৫৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ফখর, ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে বাঁ-হাতি তারকার লাগে ৯৯ বল। এ দিকে ১ রানের জন্য ৫০ হয়নি বাবরের। ৪৬ বলে ৪৯ করেন তিনি। শান মাসুদও (১২ বলে ১ রান) হতাশ করে সাজঘরে ফিরে যান দ্রুত। তবে মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ফখর ছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ৪৩তম ওভারে তাঁর আউট হওয়ার সময় পাকিস্তান ছিল নিরাপদেই। ১১৪ বলে ১১৭ করে সাজঘরে ফেরেন ফখর।

এর পর সলমান আগা ফিরলেও, ৪২ রানে (৩৪ বলে) অপরাজিত থেকে রিজওয়ান পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে ২ উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ব্লেয়ার টিকনার, ইশ সোধি এবং রচিন রবীন্দ্র।এ দিকে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডও ছিল আগ্রাসী মেজাজে। শুরুটা ভালো হলেও, পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন হ্যারিস রাউফ। চাদ বোয়েস ২৬ বলে ১৮ করে কট বিহাইন্ড হলে ভাঙে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি। পরের উইকেট পেতে পাকিস্তানকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।

উইল ইয়ং-এর সঙ্গে ড্যারেল মিচেল জুটি বাঁধেন তাঁরা দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ বলে যোগ করেন ১০২ রান। ৭৮ বলে ৮৬ করে উইল ইয়ং সাজঘরে ফিরলেও, সেঞ্চুরি হাঁকান মিচেল। ১১৫ বলে ১১৩ রান করেন তিনি। এ ছাড়া ৩৬ বলে ২০ করেন টম লাথাম। হেনরি নিকোলাস করেন ২১ বলে অপরাজিত ২০ রান।