সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে পরাজয়ের পর জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট দল। তবে প্রথম থেকেই বেশ কিছুটা পিছনে চলছিল বাংলাদেশ কারণ প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৭ রান করেছিল বাংলাদেশ, যার দৌলতে প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের লিড পেয়ে যায় ভারত। তবে বাংলাদেশের বোলাররা সেই রানের ভরাপাই করে দিয়েছেন অতিরিক্ত উইকেট নিয়ে, বিশেষ করে মেহেদী হোসেন মিরাজ।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশে ২২৭ রান করলেও ভারতীয় দল ৩১৪ রান করে ৮৭ রানের লিড পেয়ে যায় প্রথম ইনিংসে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে এবং ২৩১ পর্যন্ত পৌঁছে যায় যা একটা দুর্দান্ত ইনিংস ছিল। বাংলাদেশের মোট লিড হয় ১৪৪ রান, অবশ্যই এক্ষেত্রে বলা যায় বাংলাদেশ প্রায় 40 রানে পিছিয়ে। কারণ বাংলাদেশের টার্নিং পিছে ১৭০-৮০ রান চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য যথেষ্ট। তবে বাংলাদেশ যে ব্যাটে ৪০ রান কম করেছে এটা বল হাতে পারফরমেন্স দিয়ে পুষিয়ে দিলেন মিরাজ।
বাংলাদেশের ১৪৪ রানের পিছনে তারা করে একের পর এক উইকেট হারিয়ে রীতিমতো দিশেহারা ভারতীয় ক্রিকেট দল। মেহেদী হোসেন মিরাজের বল যেন বুঝতেই পারছেন না ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আর সেই কারণে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে ভারত। প্রথমেই মেহেদির বলে শুভমন গিল স্টাম্প আউট হয়ে ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে মাত্র ৭ রান করে। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চেতেশ্বর পুজারা ৬ রান করে মেহেদির বলে স্টাম্প আউট হয়ে ফিরেছেন।
সাকিব আল হাসানের বলে রাহুল মাত্র দুই রান করে ফিরেছেন। ভারতের সবথেকে বড় উইকেট বিরাট কোহলিকে মেহেদী আউট করেন, ক্যাচ ধরেন মমিনুল, মাত্র ১ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে। এই মুহূর্তে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ভারত। তাদের জিততে হলে এখনো ১০০ রান দরকার। এই ১০০ রান শুনতে খুব কম লাগলেও আপনাদের জানিয়ে রাখি বাংলাদেশের মতো টার্নিং পিছে তার উপরে আবার চতুর্থ ইনিংসে এই রানটা চেজ করা রীতিমতো অসম্ভব একটা ব্যাপার। ভারত যদি কালকে দুর্দান্ত কিছু ক্রিকেট না খেলে এই ম্যাচ কিন্তু বাংলাদেশের হাতে।