বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যাবধানে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় ভারতের!

তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ইনিংস এবং ২৬১ রানে পিছিয়ে ছিল মোহাম্মদ মিথুনের দল।তাই শেষ দিনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল তাদের জন্য। চতুর্থ দিনে সেই চাপেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সাদমান ইসলামের অপরাজিত ৯৩ রানের সুবাদে ১৮৭ রান তোলে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।

এর ফলে ইনিংস এবং ১২৩ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারত ‘এ’ দল।আগের দিনের ৪৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিনে এলোমেলো ছিল বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিং লাইনআপ। এক সাদমান ছাড়া বাকি কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।এর শুরুটা হয়েছিল মুমিনুল হককে দিয়ে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আগের দিনের ৪ রানের সঙ্গে আর মাত্র ২ রান যোগ করতে পেরেছেন এদিন। চতুর্থ দিন সকালে সৌরভ কুমারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ রান।এরপর শাহাদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাদমান। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি দিপু। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬১ বলে ২৯ রান।১৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুকছিল তখন দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন মিথুন। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক সিলভার ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন দলকে হয়াতশায় ডুবিয়ে। এরপর সুমন খান-আশিকুজ্জামানরাও দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন।

ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার চিত্রে একমাত্র ব্যাতিক্রম ছিলেন সাদমান। এই ওপেনার একাই দলকে টেনেছেন পুরোদিন। অথচ যোগ্য সঙ্গীর অভাবে হাতছাড়া হয়েছে তার সেঞ্চুরি। দল ১৮৭ রানে অলআউট হলেও সাদমান একপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ৭৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন সৌরভ।

বাংলাদেশ ‘এ’ দল (১ম ইনিংস)- ২৫২/১০ (৮০.৫ ওভার) (দিপু ৮০, জাকের ৬২; মুকেশ ৬/৪০)।ভারত ‘এ’ দল (১ম ইনিংস)- ৫৬২/৯ (ডিক্লেয়ার) (অভিমন্যু ১৫৭, যাদব ৮৩; মুশফিক ৩/১২৯)।বাংলাদেশ ‘এ’ দল (২য় ইনিংস)- ১৮৭/১০ (৭৯.৫ ওভার) (সাদমান ৯৩*, দিপু ২৯; সৌরভ ৬/৭৪)।