অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক মনে করেন যে, বাবর আজমের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং তাঁর ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া উচিত। ২০১৯ সালে সরফরাজ আহমেদকে সমস্ত ফর্ম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে বাবর আজমকে পাকিস্তানের অধিনায়ক করা হয়।২০২১ সালে বাবর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এশিয়া কাপ এবংটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে একটিও টেস্ট জেতাতে না পারায় তাঁকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।
শোয়েব মালিক জিও স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, একজন নেতা হিসেবে ওর উন্নতি হতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু আমরা এমন একটি সংস্কৃতিতে আছি, যেখানে আমরা রাতারাতি ফলাফল চাই। যে ওকে পরামর্শ দিচ্ছে, দয়া করে ওকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরামর্শ দিক। সে ক্ষেত্রে ও সব ধরণের রেকর্ড ভেঙে ফেলবে এবং তখন চাপ শুধুমাত্র নিজের ক্রিকেটের উপরই থাকবে।’মালিক শেষ বার ২০২১ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলের জার্সি পরেছিলেন। তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তান যখন একটি ম্যাচ হেরে যায়, বাবরের পারফরম্যান্সও খারাপ হয়।সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, আইসিসি বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান দলকে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম।
চলতি মাসের শুরুতে পিসিবির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বাবর আজমকে শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করেছিলেন।শোয়েব মালিকের দাবি, ‘আমি একটা কথা বলব। আমরা ওর ব্যক্তিগত ব্যাটিং পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বকে মিলিয়ে দিচ্ছি। আমাদের এটা করা উচিত নয়। দু’টোই আলাদা। কিন্তু আমরা যখন ওকে বিচার করি, যখন দল হেরে যায়, তখন ওর পারফরম্যান্সও নিয়েও সমালোচনা হয়। আমাদের এটা করা উচিত নয়। এটা একটা দলের খেলা। অতীতে একজন খেলোয়াড় ম্যাচ জেতাতে পারলেও, এখন খেলার ধরন বদলে গিয়েছে।’ সম্প্রতি, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে-অফে পেশোয়ার জালমিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাবর।
পাক অধিনায়ক বর্তমানে টম লাথামের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।নাজাম শেঠি সাম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বাবরকে শর্তসাপেক্ষে অধিনায়ক হিসেবে সমর্থনের প্রস্তাব দেন। বলেছেন, যতক্ষণ দল জিততে থাকবে ততক্ষণ পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তন করা হবে না।বাবর আজম ওয়ানডে-তে ২১ ম্যাচে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৩টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আর ৭ ম্যাচে হেরেছে। টেস্টে ১৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন বাবর, ৮টিতে জেতে আর ৪টিতে ড্র করে পাকিস্তান। বাকি ৬টিতে হেরেছে।
টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে রেকর্ড ৭০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন বাবর আজম। তার মধ্যে ৪২টিতে জয় পায় পাকিস্তান। তার নেতৃত্বে আর মাত্র একটি ম্যাচে জয়ে পেলে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়বেন বাবর।