নেমারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন গোটা মরশুমে জুড়েই শিরোনামে রেখেছিল কিলিয়ান এমবাপেকে। এখন আবার তাঁর পিএসজি ছাড়া নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। তবে এসবের কোনও প্রভাবনই পড়ে না এমবাপের পারফরম্যান্সে।সোমবার রাতে ইউরোর বাছাই পর্বের ম্যাচে এমবাপের একমাত্র গোলেই গ্রিসকে হারিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। তবে এমবাপের গোলটিতে ছিল পরতে পরতে নাটক আর চরম উত্তেজনার জাল। ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি কিক নেন তারকা ফরাসি স্ট্রাইকার। তাঁর সেই শট বাঁচিযে দেন গ্রিসের গোলকিপার। কিন্তু…
রেফারি আবার পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। দ্বিতীয় চেষ্টায় অবশ্য বল জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি এমবাপে।৫৫ মিনিটের পেনাল্টিতে নেওয়া এই গোলের হাত ধরে ফ্রান্সের ৬৪ বছরের একটি পুরনো রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন এমবাপে। কিংবদন্তি জাস্ট ফন্টেইনকে পিছনে ফেলে এক মরশুমে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।গ্রিসের বিরুদ্ধে করা গোলটি নিয়ে এই মরশুমে পিএসজি এবং ফ্রান্সের হয়ে এমবাপে করে ফেলেছেন মোট ৫৪টি গোল। এর মধ্যে ৪১টি তিনি করেছেন পিএসজির হয়ে। ফ্রান্সের হয়ে তিনি এই মরশুমে করেছেন ১৩ গোল।
ফন্টেইন ১৯৫৭-৫৮ মরশুমে সর্বোচ্চ ৫৩ গোল করেছিলেন। সে বার তিনি রেসের হয়ে করেছিলেন ৩৯ গোল। আর ফ্রান্সের হয়ে ১৪ গোল করেছিলেন। ফ্রান্সের জার্সিতে ১৪ গোলের ১৩টিই ফন্টেইন করেছিলেন ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপে। যেটি এখনও এক বিশ্বকাপে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।এ দিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউরোর বাছাইপর্বের ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে সোমবার গোল–উৎসবে মেতেছিল ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকার হ্যাটট্রিক আর হ্যারি কেনের জোড়া গোলের হাত ধরে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড।
একটি করে গোল করেছেন ক্যালভিন ফিলিপ্স এবং মার্কাস র্যাশফোর্ড।তিন দিন আগেই বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে মাল্টাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে নর্থ মেসিডোনিয়াকে পেয়ে ইংল্যান্ড যে দাপট দেখাবে, সেটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে ৭-০ গোলের এত বড় জয় হয়তো অনেকেই প্রত্যাশা করেননি।
পুরনো রেকর্ড বলছে, বাছাই পর্বে বড় জয় পাওয়াটা ইংল্যান্ডের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ম্যাচে সান মারিনোকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিলেন হ্যারি কেনরা। সোমবারের ৭-০ গোলের জয়ে সবচেয়ে বড় কাজটা যিনি করেছেন, সেই সাকা খেলেছেন চোট নিয়ে। এটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আর্সেনাল তারকার প্রথম হ্যাটট্রিক।