ঘটা করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গণে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। এবার একদিনের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণাও দিলেন তামিম। (৭ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক শেষে অবসর প্রত্যাহারের বিষয় নিশ্চিত করেন তিনি। গতকাল (০৬ জুলাই) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এক হোটেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। আর নাটকীয়ভাবে একদিন পার না হতেই অবসর প্রত্যাহার করলেন ঢাকার মাটিতে।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তামিমের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তামিম বলেন, ‘আজকে দুপুর বেলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার বাসায় ইনভাইট করেছেন। অনেক্ষণ আমাদের কথা হয়েছে, উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরতে, এই মুহুর্তে আমি আমার অবসর প্রত্যাহার করছি।’ সবার অনুরোধ উপেক্ষা করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করা অসম্ভব।
তামিম আরো বলেন, ‘কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি, দেশের যিনি সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা অসম্ভব। অবশ্যই পাপন ভাই, মাশরাফি ভাই বড় ফ্যাক্টর। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন, পাপন ভাই সাথে ছিলেন।’আফগানিস্তান সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ বাদ দিলে এই মুহূর্তে জাতীয় দলের ব্যস্ততা সীমিত। আগস্টের ২৯ তারিখ থেকে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় বসবে এশিয়া কাপের আসর। তার আগ পর্যন্ত ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে উঠা ও মানসিকভাবে চাঙা হতে এশিয়া কাপ পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তামিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তামিম ইকবাল অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে খুশির আবহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই তামিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। একদিনের ব্যবধানে দেশের সেরা ব্যাটারের অবসর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পেছনে অবদান আছে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও।জানা গেছে, মাশরাফির মাধ্যমেই ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী তামিম ইকবালকে আজ শুক্রবার দুপুরে গণভবনে নিমন্ত্রণ করেন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তামিম অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠতে তামিমকে দেড় মাসের ছুটি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী এশিয়া কাপ দিয়ে হয়তো তিনি দলে ফিরবেন।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দুটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মাশরাফি। যাতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল তামিম-মাশরাফি এবং তামিম ইকবালের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ক্যাপশনে বাংলাদশের জনপ্রিয় এই সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘আবার দেখা হবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয় ইনশাল্লাহ।’
নিজের বিষয়ে তামিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের জন্য ছুটিও দিয়েছেন যে আমার চিকিৎসা আছে বা অন্য কোনো, আমি যেন মানসিকভাবে ফ্রি হতে পারি। যা খেলা আছে দেড় মাস পর, আমি ইনশাআল্লাহ্ খেলব।’