ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসির নামের পাশে ছিল ৫টি গোলে (নকআউটে) অ্যাসিস্টের রেকর্ড। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন আলভারেজ। প্রায় একক নৈপুণ্যে গোলটি বানিয়ে দেন লিওনেল মেসি। আলভারেজ শুধু বলটিতে পা ছুঁইয়ে গোল করেন।
শুধু নকআউটে সর্বোচ্চ ৬টি অ্যাসিস্টই নয়, ১৯৬৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করার রেকর্ডে ম্যারাডোনাকেও ছুঁয়ে ফেললেন মেসি। বিশ্বকাপে এ নিয়ে মোট ৮টি অ্যাসিস্ট করলেন তিনি। ৮টি অ্যাসিস্টের রেকর্ডে এতদিন এককভাবে শীর্ষে ছিলেন ম্যারাডোনা। এবার তার পাশে নাম লিখলেন মেসি।
এর আগে পেনাল্টিতে গোল করেও একটি রেকর্ড গড়েন মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১০টি করে গোল নিয়ে মেসি সমতায় ছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। এবার এই একটি দিয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি।
মাঠে নামার পরপরই একটি বিরল রেকর্ড গড়ে ফেলেন মেসি। এ নিয়ে ২৫তম ম্যাচ খেললেন বিশ্বকাপে। জার্মানির লোথার ম্যাথাউস এতদিন সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলে শীর্ষে ছিলেন। আজ মেসি তাকে স্পর্শ করলেন। ফাইনালে খেলতে নামলেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ে ফেলবেন তিনি।
শুধু তাই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও সর্বোচ্চ ১৯টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কুয়েজের সঙ্গে ১৮টি ম্যাচ খেলে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন।