উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক জায়াগায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করছেন। বহু গ্রামে ঢুকে মহিলাদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করবেন সাধারণ মানুষ, সভা থেকে তাও বাতলে দেন মমতা। বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।
” শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশের একাংশও বিজেপির (BJP) সঙ্গে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ করেছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।এই মন্তব্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ৮ এপ্রিল নোটিস পাঠিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলে নির্বাচন কমিশন। সেই শো কজ নোটিসের উত্তর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। সেখানে তিনি লিখেছেন, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছি। তবে এক সিআরপিএফ জওয়ানের কাজের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম।
তারকেশ্বের রামনগরে এক জওয়ান একটি বাচ্চা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল বলে অভিযোগ। যার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুধু তাই নয়, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোটের সময় জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তিন দফায় যাথক্রমে ৬, ১৮ এবং ১৩৪টি অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করা হয়নি বলে চিঠিতে লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সঙ্গে শো কজের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি কেবল মহিলাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করতে। যদি তাঁদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সিএপিএফ জওয়ান সমস্যা তৈরি করেন, তবে তাঁদের ঘেরাও করার কথা বলেছেন।
ঘেরাও কোন অর্থে বেআইনি, সে প্রশ্নও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।চিঠির শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি কোনও আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি।