টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে আরও দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন শান্ত। একটি শ্রীলঙ্কা ও আরেকটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই তুলনায় আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ দুর্বল কিনা সেই প্রশ্ন তর্ক সাপেক্ষ। শান্ত অবশ্য জানিয়েছেন তার কাছে দুর্বল মনে হয়নি আফগানদের বোলিং লাইনআপ। নো বলের কারনে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি।সেই জীবন অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত। আউটের ধরনে খুশি নন শান্ত নিজেও। আফগানিস্তান নিজেদের পরিকল্পনা ধরে রেখে বোলিং করেছে বলেও মনে করেন এই ব্যাটার।
কোনো দলের বিপক্ষেই রান করাকে সহজ মনে করেন না তিনি।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি যতটুকু খেলেছি, কাউকেই দুর্বল মনে হয়নি। প্রত্যেক দলের সঙ্গেই কষ্ট করে রান করতে হয়েছে। আর ওরাও তো পরিকল্পনা করেই বোলিং করেছে। আমি যে আউটটা হয়েছি, অবশ্যই আমার ভুল ছিল। কিন্তু সে তো পরিকল্পনা করেই বোলিং করেছে। কোনো দলের বিপক্ষেই সহজভাবে রান করা যায় বলে আমার মনে হয় না।’এদিন দলীয় ৬ রানে ওপেনার জাকির হাসান ফেরার পর ব্যাটিংয়ে আসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে তিনি যোগ করেছেন ১১২ রান।
অন্যপ্রান্তে জয় ধীরস্থির থাকলেও আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে শান্ত। তার ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৩.৪২। স্ট্রাইক রেট বেশি থাকলেও শান্ত জানালেন রান করতে কষ্ট করতে হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সহজ মনে হয়নি। আমি যে পরিকল্পনায় ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলাম, ওটা শুধু কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি, আমি একদম পরিষ্কার ছিলাম, আমি কী করতে চাই। সে জন্য হয়তো আপনাদের কাছে সহজ মনে হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকে আমাকে কষ্ট করেই ব্যাটিং করতে হয়েছে।’
আফগানিস্তানের বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা চেষ্টা করেছে ভালো জায়গায় বল করতে। এই গরমে যেভাবে বোলিং করেছে, আমি মনে করি ভালো বোলিংই করেছে। স্পিনাররাও বেশ কিছু ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওদের সামলানোর পুরো কৃতিত্বই আমাদের ব্যাটসম্যানদের।’
ছক্কা মারার লক্ষ্যে ব্যাট না চালালে শান্তর ইনিংসটি আরও বড় হতে পারত। তবে যা হয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট শান্ত। তিনি বলেন, ‘যতটুকু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ খুশি।’ কিন্তু পরে আবার আফসোসই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘হ্যাঁ, এই ইনিংস আরও বড় হতে পারত, পরের দিন এমন সুযোগ এলে চেষ্টা করব বড় করতে।’