১৬ তম IPL-এ KKR-এ সুযোগ পেয়েও খেলতে নামেননি সাকিব আল হাসান। শেষ মুহূর্তে তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্দ হয়েছিলেন সমর্থক থেকে শুরু করে ক্লাব কর্তারা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বাকি দুই প্লেয়ার লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানও মাঝপথে দল ছাড়েন আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকায়। প্রতিবারই বাংলাদেশ IPL-এর সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ রাখায় তাদের প্লেয়াররা সুযোগ পান না IPL-এ।
তবে এবার IPL-এ বাংলাদেশের তিনজন প্লেয়ার সুযোগ পাওয়ায় তারা IPL খেলতে চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, বারবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন তাঁরা অনুমতি দেওয়ার জন্য কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন বাংলাদেশ কর্তারা। যার ফল দেখা গিয়েছিল। প্লেয়াররা কোনও টুর্নামেন্টই পুরো খেলতে পারেননি। পাশাপাশি IPL-এ যেই টাকার বিনিময়ে তারা দলে গিয়েছিলেন সেই টাকাটাও তাঁরা পাননি মাঝপথে দল ছাড়ায়। অন্যদিকে ২০২২ সালে IPL খেলার সুযোগ পেলেও তাসকিন আহমেদ যাননি খেলতে।জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য বিদেশি লিগ না খেলার সিদ্ধান্ত প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
যেই ঘোষণা সেই কাজ। তিন প্লেয়ারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে BCB। সাকিব, লিটন ও তাসকিনকে বিসিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে মুস্তাফিজুর রহমানকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। কারণ তিনি দলের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁকে ধরে রেখেছিল তাঁর দল। আর তিনি আগাম দল ছাড়ায় আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
এবার IPL-এ সাকিবকে দেড় কোটি টাকা দিয়ে দলে নেয় KKR। লিটন দাসকে তাঁর বেস প্রাইস ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে দলে নেয়। তাসকিনকে দলে নিতে চেয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস, তবে তাঁকে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে নেওয়ার কথা হয়েছিল তাই তাঁর দাম জানা যায়নি। অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমানকে ধরে রেখেছিল তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালস।
এবার বাংলাদেশের সব প্লেয়ার IPL-এর মাঝপথে দল ছাড়ায় বিতর্ক হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে BCCI পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত সেসব হয়নি। তবে এই প্লেয়ারদের মধ্যে আগামী মরশুমের জন্য় কাউকে ধরে রাখার সম্ভবনা কম।