বিশ্ব ক্রিকেটে ডিভিলিয়ার্স একটা বিশাল বড় নাম, জীবনের প্রথম কিছু বছর এতটা বড় মাপের ক্রিকেটার তিনি ছিলেন না, আর পাঁচটা প্লেয়ার এর মত তিনি একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন কিন্তু অসাধারণ ছিলেন না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যতদিন এক্সপেরিয়েন্স পেয়েছেন তার সাথে নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে তাকে বল করতে হলে যে কোন বোলারকে হিমশিম খেতে হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) তারকা ক্রিকেটার এবি ডে ভিলিয়ার্স (AB de Villiers)। অনেক ক্রিকেটারের অবসরের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না ভক্তরা। তবে এবার তিনি জানালেন কোন তিনজন বোলার যারা তাকে সমস্যার মধ্যে ফেলেছে।
তেমনটাই হয়েছিল এবিডির ক্ষেত্রেও। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন প্রোটিয়া তারকা এবিডি। ১৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে একাধিক বোলারের বিরুদ্ধে খেলেছেন এবিডি। সেই সময় যে সকল বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে চাপে পড়েছেন প্রোটিয়া তারকা এ বার সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। জিও সিনেমায় এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবীন উথাপ্পাকে এই নিয়ে জানিয়েছেন এবিডি।
বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের তালিকায় তিনি পড়েন। তাঁকে মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি বলা হয়। সেই এবি ডে ভিলিয়ার্সই এ বার তিন বোলারের নাম জানালেন, যাঁদের বিরুদ্ধে খেলার সময় তিনি চাপে পড়তেন। এই তিন বোলারের নাম তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যার মধ্যে প্রথম নামটি হল বিখ্যাত লেজেন্ড – শেন ওয়ার্ন। এছাড়াও তিনি ভারতের একজন বোলারের কথা বলেছেন যাকে খেলতে অসুবিধা হয়েছে তার, তিনি হলেন জসপ্রীত বুমরা। এছাড়াও বাংলাদেশের একজন বোলারের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি যাকে খেলতে তার সমস্যা হয়েছে।
এবিডি প্রথম ওয়ার্নির বোলিংয়ের মোকাবিলা করেছিলেন ২০০৬ সালে। ডেবিউ হওয়ার ২ বছর পর তখনও ওয়ার্নের বলের মুখোমুখি হওয়া এবিডির কাছে সহজ কাজ ছিল না বলেই স্বীকার করেন তিনি। রবীন উথাপ্পাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবিডি আরও জানান, ওয়ার্নার ছাড়াও জসপ্রীত বুমরার মুখোমুখি হওয়াটাও তাঁর কঠিন মনে হত। প্রোটিয়া তারকা ক্রিকেটার এবি ডে ভিলিয়ার্স ভারতীয় তারকা বোলার জসপ্রীত বুমরার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার খেলেছেন। বুমরার প্রতিযোগী মানসিকতা তাঁর বোলিংয়ে অন্য মাত্রা যোগ করে। মত এবিডির। এবার জেনে নেওয়া যাক কোন বাংলাদেশী বোলারকে খেলতে সমস্যায় পড়েছেন ডি ভিলিয়ার্স।
বাংলাদেশের তারকা বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের বল খেলতে তিনি খুবই সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। যেভাবে মুস্তাফিজুর স্লো বোলিং করে থাকেন এবং নিজের আঙ্গুলগুলো বলের উপর ঘুরিয়ে থাকেন, বোঝা খুব মুশকিল হয় বলটা কোন গতিতে আসছে। ফিজের বোলিং নিয়ে আবার প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার এবিডি বলেন, ‘ফিজের বিরুদ্ধে কয়েক বার খেলেছি। ওর বলে ছয় মারার পরও ও কিন্তু আউট করার চেষ্টা করে। এই ধরণের বোলাররা, যাদের মুখোমুখি হওয়া কঠিন, তাঁদের আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি।’