দল হারলেও অনবদ্য ইনিংস দিয়ে কোহলির রেকর্ড ভেঙে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন রিজওয়ান !

পাকিস্তান ইনিংসের প্রাণ বলা যায় ষষ্ঠ উইকেটের রিজওয়ান-ইফতিখার জুটিকে।জিতলেই ফাইনাল, হারলেই বিদায়; এমন সমীকরণের ‘অঘোষিত সেমিফাইনাল’ ম্যাচে বৃষ্টি শঙ্কা মাথায় নিয়েই মাঠে গড়িয়েছিল খেলা, খেলা শুরুর আগেও হয়েছে বৃষ্টি। ১৩০ রানে পাকিস্তান ৫ উইকেট হারানোর পর এই জুটি থেকে আসে ৭৮ বলে ১০৮ রান। ইফতিখার ৪০ বলে ৪৭ রান করে মাথিশা পাথিরানার বলে মিড-অফে ধরা পড়লেও অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।দলীয় ৯ রানে ফখর জামানকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন বাবর আজম ও আসরে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া আব্দুল্লাহ শফিক। আর তারপরেই ইতিহাস গড়লেন রিজওয়ান।

১৬তম ওভারে ভারত ম্যাচের নায়ক দুনিথ ভেল্লালাগের বলে লাইন মিস করে স্টাম্পিং হয়ে যান বাবর।অধিনায়ক ফেরেন ৩৫ বলে ২৯ রান করে। শফিক ক্যাচ আউট হয়ে যান পুল করতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ বেল ৫২ রান। এরপর দ্রুত ফেরেন একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। এরপরই রিজওয়ান-ইফতিখারের ব্যাটে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।আর তারপরেই ইতিহাস গড়লেন রিজওয়ান।

ফিফটি তুলে নেয়া আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান পাথিরানা। ৬৯ বলে ৫২ রান করেন শফিক। পাথিরানার পরের শিকার মোহাম্মদ হারিস, ১২ বলে ৩ করে ফেরেন তিনি। আর মোহাম্মদ নাওয়াজকে (১২) ফেরান থিকসানা। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮ ওভারে ১৩০ রান তুলে পাকিস্তান। পরের গল্পটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ইফতেখার আহমেদকে সাথে ইনিংস টানতে থাকেন তিনি। আরো একবার প্রমাণ করেন পাকিস্তান দলে তার প্রয়োজনীয়তা কতখানি। ইফতেখারও কম যাননি, রান তুলেছেন পাল্লা দিয়ে৷ ৮৪ বল থেকে ১০৮ যোগ করেন দুজনে।৪১তম ওভারে ৪০ বলে ৪৭ করে ইফতেখার ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন আসরের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে, ৭৩ বলে ৮৬ রানে।

৬৫ রানে ৩ উইকেট নেব পাথিরানা, জোড়া উইকেট নেন মাদুশান।পাথিরানা ৩ উইকেট নিলেও ৮ ওভারে তাকে গুনতে হয়েছে ৬৫ রান। ৫৮ রানে দুটি নেন একাদশে সুযোগ পাওয়া প্রমোদ মদুশান।নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এরপর দুই দলই হেরেছে ভারতের কাছে। পাকিস্তানের হারটি ছিল অপেক্ষাকৃত বড়, ২২৮ রানের। শ্রীলঙ্কা হেরেছিল ৪১ রানে। এজন্য নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কার (-০.২০০) চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে পাকিস্তান (-১.৮২৯)। ফাইনালে যেতে বাবর আজমদের তাই এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না, তবে শ্রীলংকার কঠিন লড়াইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হয় বাবরদের।

পাকিস্তানের পরাজয়ের অর্থ হল ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলবে শ্রীলংকা। আপনাদের মনে করিয়ে রাখব যে গত বছরের এশিয়া কাপেও শ্রীলংকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে।