এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ দল এখনো পর্যন্ত দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে তবে আজকে সব থেকে বড় ভারতের বিরুদ্ধে যে ম্যাচ ছিল সেই ম্যাচের দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ দল এবং ভারতকে রীতিমতো পরাজিত করেছে। বাংলাদেশের এই দুরন্ত জয়ের অন্যতম কারিগর সাকিব আল হাসান যিনি বল তো ভালো করছেনই তার সাথে আজকে বিশেষত তার অনবদ্য ইনিংসের জোরেই যে বাংলাদেশ এই ম্যাচে এত বড় জয় লাভ করতে পেরেছে সেটা আর বলতে অপেক্ষা রাখে না।
টসে জিতে ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ব্যাট করতে ডাকেন বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশ দল প্রথম থেকে শুরুটা খুব একটা ভালো না করলেও মাঝে সাকিব আল হাসান পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে যান ভারতীয় বোলারদের সামনে। ভারতের মতো দলের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে বিশ্ব রেকর্ড করেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৮৫ বলে ৮০ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি যার দৌলতে ভারতীয় দল রীতিমতো ব্যাকফুটে চলে যায়।
তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন সাকিব আল হাসান যার দৌলতে বাংলাদেশ এই ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে যায়। হৃদয় এবং শাকিবের ১০১ রানের এই অনবদ্য পার্টনারশিপ ভারতীয় দলকে রীতিমতো পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। অনবদ্য একটি হাফ সেঞ্চুরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন তাওহীদের হৃদয়, যিনি একের এক ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স করছেন।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অনবদ্য স্পিন অ্যাটাক এর জবাব ছিল না ভারতীয় দলের কাছে যদিও ভারতীয় দলের তরফ থেকে শুভমান গিল একটি সেঞ্চুরি করেছেন তবে তিনি এতটাই স্লো খেলেছেন যে ভারতীয় দল এই চাপের মধ্য থেকে কখনো বের হতে পারেনি এবং তিনি এই ম্যাচ ফিনিশ করার আগে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে অনেক ফিরে যান।
পাশাপাশি জানিয়ে রাখবো যে ২০১২ সালের পর এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এটি প্রথম জয় অর্থাৎ গত 11 বছর ধরে বাংলাদেশ ভারতকে এশিয়া কাপে কোনো রকম ভাবে পরাজিত করতে পারেনি। তবে সময় বদলেছে যুগ বলতেছে এবার একের পর এক ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করতে চলেছে বাংলাদেশ।