ইউয়েফা ইউরোর কোয়ালিফায়ার্স ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামে পর্তুগাল। আর এই ম্যাচে অবশেষে গোলে জাতীয় দলের হয়ে গোলের দেখা পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের হয়ে কোনও গোলের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে দেশের হয়ে ২০০ তম ম্যাচে গোল পেলেন সিআর সেভেন।আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচের একেবারে শেষ মুহূ্র্তে এসে গোলের দেখা পেলেন রোনাল্ডো। ৮৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। যদিও সেই গোল নিয়ে একটা বিতর্কের সৃষ্টি দেখা দেয়। আইসল্যান্ডের ফুটবলাররা অফসাইডের আবেদন করলে রেফারি ভার পদ্ধতির সাহায্য় নেন। সেখানে দেখা যায়, রোনাল্ডো অফসাইড ছিলেন না।
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নামের পাশেই গোল যুক্ত হয়।তবে এই ম্যাচে শুধুমাত্র ১টি গোল হয়। যা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে যায়। অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষকে পেয়েও মাত্র একটি গোল পর্তুগালের। এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলেছে। তবে এই ম্যাচ নিয়ে খুব একটা ভাবতে চায় না পর্তুগাল শিবির। যদিও এই ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে ১২৩তম গোল করলেন সিআর সেভেন। এই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি জে গ্রুপের শীর্ষেই রইল পর্তুগাল।এই ম্যাচ জয়ের পর রোনাল্ডো জানান, ‘দেশের হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলা সত্যি গর্বের। প্রত্যেকটি ম্যাচ স্বপ্নের মতো। দেশের হয়ে খেলা যেমন গর্বের, ঠিক তেমনই নিজের সবটুকু পরিশ্রম দেশের হয়ে খেলার জন্যই করি।
যতদিন খেলব দেশের হয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে যাব।’এই ম্যাচে নামার আগে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয় রোনাল্ডোকে। গিনিস বিশ্বরেকর্ড থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়ার ২০ বছরের মাথায় ২০০তম ম্যাচ খেলতে নামলেন রোনাল্ডো। সেই সঙ্গে প্রথম কোন পুরুষ ফুটবলার যিনি দেশের জার্সি গায়ে ২০০ তম ম্যাচ খেলতে নামলেন।অন্যদিকে সাইপ্রাসকে ৩-১ গোলে হারায় নরওয়ে। ম্যাচের জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। সেই সঙ্গে এও বলে রাখা ভালো অন্য ম্যাচে ফিফা ফ্রেন্ডলিতে জার্মানিকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কলম্বিয়া।
জর্মানদের হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে তারা। ফুটবল যে অনিশ্চয়তার খেলা তা ফের একবার যেন প্রমাণিত হল।সোমবার ম্যাসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে ০-৭ গোলে জেতে ইংল্যান্ড। আর সেই ম্যাচে জয়ের পর তুরস্ক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ২৬টি পরিবারকে নতুন আশ্রয় করে দিলেন বুকায়ো সাকা। দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করার পরই এই ঘোষণা করেন তিনি।একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন সাকা।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে তুরস্কে হওয়া এই ঘটনা আমি জানতে পারি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা দেখার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। তারপরই আমি ঠিক করে ফেলি, তাদের পাশে দাঁড়াব। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথাও বলি। ওরা আমার প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যায়। এই ক্ষতি ভোলার নয়। যতটা সম্ভব তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’