এশিয়া কাপের আসরে সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ হারার পর বাস্তবতার উপলব্ধি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে সব সময় ভালো করলেও বড় আসরে যে বাংলাদেশ পরীক্ষাই ফেলই করে, এটা অকপটে স্বীকার করলেন তিনি।শনিবার কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার কাছে লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৫৮ রান তাড়ায় ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায়। তাওহিদ হৃদয় ফিফটি করে দলকে টানলেও জেতার কাছে নিতে পারেননি দলকে। বাংলাদেশ হারে ২১ রানে।
এশিয়া কাপে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষও হয়ে যায়।এই টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও শ্রীলঙ্কার কাছে ১৬৪ রানে গুটিয়ে হেরেছিলেন সাকিবরা। পাকিস্তানের কাছে সুপার ফোরেও দুইশোর আগে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। কেবল আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনশো ছাড়ানো পুঁজি গড়ে ম্যাচ জিতেছিল।এবার ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব ব্যাটারদের অধারাবাহিকতা নিয়ে জানিয়েছেন উদ্বেগ, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছে আমরা ভালো ব্যাট করছি না। সেই জায়গা থেকে চিন্তার বিষয়।’তবে তার কাছে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপটা খুব কাজের মনে হচ্ছে এক দিক থেকে, … সাকিব বলেন…
‘আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে এরকম একটা টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপের আগে খুবই কাজে দিয়েছে। আসলে আমাদের রিয়েলিটি চেক দরকার ছিল।’সাকিবের মতে বাংলাদেশ আসলে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে বরাবর ভালোই করে কিন্তু বড় আসরে দেখা যায় আসল ছবি, ‘আমরা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ যতগুলো হয় সিরিজগুলোতে কিন্তু সব সময় ভালোই করি। সেটা আপনি ২০১১ থেকে ২০১৫ দেখেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ দেখেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ দেখেন। সেসবে আমরা ভালো করেছি। আপনি বলতে পারবেন না আমরা কখনই খারাপ দল ছিলাম। আমাদের আসলে বড় পরীক্ষা হয় বড় টুর্নামেন্টে।
যেখানে আমরা ২০০৭ সালের বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি, এগারোর বিশ্বকাপেও তিনটা জিতেছি, পনেরোর বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি, ঊনিশের বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের খুব একটা তফাৎ আছে সেটা বলা মুশকিল।’ ‘আমাদের যখনই রিয়েলিটি চেক হয়, তখন কিন্তু আমরা ফেইলই করেছি। একটা জিনিস যেটা ভালো বিশ্বকাপের আগে এরকম একটা টুর্নামেন্ট হলো।
থিংক ট্যাংক চিন্তা করবে এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়।”কখনো আমরা বড় টুর্নামেন্ট ভালো করিনি। আপনি বলতে পারেন এশিয়া কাপ দুই তিনবার ফাইনাল খেলেছি। কিন্তু জিততে পারলে ভালো হতো। আমাদের কিন্তু গত কয়েক মাসে হোমেও কিন্তু ভালো করছি না। ব্যাটিংটাও নিচের দিকে যাচ্ছে।’