তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ—ভালো খেলছেন দুজনই। এরপরও ওয়ানডে দলে কারও জায়গা পাকা নয়। যে দলে সাকিব আল হাসান আছেন, সেখানে আরও দুজন বাঁহাতি স্পিনারকে একসঙ্গে রাখার সুযোগ নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাই সাকিবের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনে থাকার কথা তাইজুল ও নাসুমের মধ্যে একজনের। এই দুজনের মধ্যে কে হতে পারেন দলের জন্য সবচেয়ে বেশি সহায়ক, সেই উত্তর খুঁজছে দল। সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে তাইজুল ও নাসুমকে বারবার অদলবদল করতে হচ্ছে।
এর কোনো প্রভাব এই দুই ক্রিকেটারের ওপর পড়ে কি না—এমন কৌতূহলের মধ্যে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপের আগে থামছে না এই ‘এক্সপেরিমেন্ট’।বেশ কিছুদিন ধরেই এক সিরিজে তাইজুল তো তো আরেক সিরিজে নাসুমকে রাখা হচ্ছে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে অভিষেক হয় নাসুমের। প্রথম ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেন ৩ উইকেট। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নাসুম ও তাইজুল দুজনই সুযোগ পান। দুই বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে খেলতে নেমে তাইজুল পান ২৮ রান ৫ উইকেট।
নাসুম নেন ২ উইকেট। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের একাদশে সুযোগ আসে তাইজুলের সামনে। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে খেলে তাইজুল নেন ৩ উইকেট। আগস্টে ওই সফরের পর বাংলাদেশ আবার ওয়ানডে খেলতে নামে ডিসেম্বরের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে। আগের ওয়ানডে সিরিজে খেলা তাইজুল ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াডেই জায়গা পাননি। কিন্তু টিকে যান নাসুম। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অবশ্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত। সেই ম্যাচে ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন নাসুম।
কেন এমন বারবার পরিবর্তন, সিলেটে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পের শেষ দিনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ হাথুরুসিংহে, ‘এ সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাই অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত এমন চলতেই থাকবে।’
ভালো করে দল থেকে বাদ, এর কোনো প্রভাব এই দুই ক্রিকেটারের ওপর পড়বে কি না, এই প্রশ্নে হাথুরুসিংহে দুই ক্রিকেটারকে কড়া বার্তাও দিয়েছেন, ‘এমন পরিবর্তন তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, তাদের সঙ্গে যথেষ্ট কথা হয়েছে। ব্যাখ্যা করেছি, কেন তারা আছে, কেন নেই। আশা করি, প্রভাব পড়বে না। যদি প্রভাব পড়ে, তাহলে তো চাপের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলবে। আর ওই ধরনের খেলোয়াড় আমরা দলে চাই না।’