এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে খুব বেশি জয় আসেনি বাংলাদেশের। তবে শেষবারের মতো ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছিল এশিয়া কাপের ময়দানে সেটা ২০১২ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১১ বছর আগে। আর সেই ঘটনারই আবার যেন পুনরাবৃত্তি হয়ে গেল এবং সেই সমস্ত ঘটনাগুলোই আবার দেখে ফেলল ক্রিকেট বিশ্ব। শুভমান গিলের খুবই স্লো এবং স্বার্থপর সেঞ্চুরির মত সেবারেও খুবই ধীরগতিতে জীবনের ১০০ তম সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় দল সেবারে পরাজিত হয়েছিল এবং ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। আর ২০২৩ সালের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দলকে পরাজিত করার নায়ক সেই লড়াকু সাকিব। সাকিব আল হাসানের অনবদ্য ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস এই ম্যাচে ভারতীয় দলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় এবং বাংলাদেশকে জয়ের সামনে নিয়ে এসে দাঁড় করায় কারণ ২৬৬ রানে পর্যন্ত পৌঁছানো ভারতের পক্ষে সহজ ছিল না বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপের সামনে। এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। বাংলাদেশের জয়ের কান্ডারী ছিলেন সাকিব আল হাসান।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ যেমনটা ভাবনা-চিন্তা করেছিল এবং প্ল্যান করেছিল কাজ হলেও ঠিক সে রকমই প্রথমেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার পিছু পিছু প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন তার সতীর্থ তিলক বর্মা। আইপিএলের তান্ডব চালানো এই তরুণ ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারলেন না। তিনি ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের হয়ে জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম হাসানের বলে। আরো একবার প্রমাণ করে দিল যে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এই বাংলাদেশ যথেষ্ট ট্যালেন্ট এবং লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
২০১২ সালের সেই ম্যাচে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ২৮৯ রান করেছিল। অথচ অনবদ্য ব্যাটিং করে বাংলাদেশের তরফ থেকে তামিম ইকবালের ৭০, মুশফিকুর রহিমের ৪৬, সাকিব আল হাসানের ৪৯ এবং নাসির হোসেনের ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পরাজিত করে। শুভমান গিল আজকে যে ধরনের ইনিংস খেলেছেন তাতে শচীনের সেই ইনিংসটির সাথেই তাকে তুলনা করা হচ্ছে যেটিকে একটি স্বার্থপর ইনিংস হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। তবে ভারতীয় দলের তরফ থেকে শুভমান গিল একটি দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছেন তবে সেই সেঞ্চুরি বিখ্যাত সচিন তেন্ডুলকারের সেই সেঞ্চুরির মতোই যা ভারতকে ম্যাচে জয়লাভ করাতে পারেনি বরং বাংলাদেশ কে জিততে সাহায্য করেছে। বিখ্যাত সচিন টেন্ডুলকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের সেই ম্যাচে জীবনের ১০০ তম সেঞ্চুরি করেছিলেন ১১৫ টি বল খেলে। আর তার এই ধীর গতির ইনিংস বাংলাদেশের জয়ের কারণ হয় যেমনটা আজকে হয়েছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দেখতে গেলে সেঞ্চুরি যদি কোন ব্যাটসম্যান করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ৮০ থেকে ৮৫ বলের মধ্যেই সেঞ্চুরি করা উচিত। সে যদি একশোর বেশি বলে সেঞ্চুরি করে তাহলে তাকে অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে আরও ৩০-৪০ টি রান খুব দ্রুত করে দেওয়া উচিত যাতে তার দল ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছাতে পারে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং এবং বোলিং সব ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে ভারত।