শুরু হতে চলেছে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চলেছে আয়ারল্যান্ড। এর আগে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে আয়ারল্যান্ড। পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলার পর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার টেস্ট ম্যাচ খেলে আইরিশরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হারেন তারা। চার বছর পর লাল বলের ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশ সফরে যাবে আয়ারল্যান্ড দল। বাংলাদেশ সফরে শুধু টেস্ট সিরিজ নয়, একই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। আর একটি মাত্র টেস্ট হবে ঢাকাতে।
আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের সিরিজ শুরু হবে। সিলেটে ১৮, ২০ এবং ২৩ মার্চ একদিনের সিরিজ হবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের। তারপরে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৭, ২৯ ও ৩১ মার্চ চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে এই দুই দল। অবশেষে ৪ এপ্রিল থেকে ঢাকাতে একটি মাত্র টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় ৪ থেকে ৮ এপ্রিল একটি টেস্ট ম্যাচের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামবে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান ওয়ারেন ডিউট্রম জানান, ‘আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচ, তিনটি ওয়ান ডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব। বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করতে পেরে আমরা খুব খুশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এই সফরে সম্মতি দেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৭ সালে প্রথমবার মুখোমুখি হয় দুই দল। সেই ম্যাচ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। আশা করছি এই সিরিজও জমে যাবে।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের জন্য এই ফরম্যাটে ফিরে আসার লড়াই হতে চলেছে। তা জানিয়ে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান বলেন, ‘এশিয়ার পিচ আমাদের ছেলেদের জন্য একটা বড় পরীক্ষা হতে চলেছে। এখানে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতাও হবে। আগামীতে এশিয়ায় অনেক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিসিবি এবং ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে যার ফলে ঠাসা ক্রীড়াসূচি থাকা সত্ত্বেও এই সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।’