পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ঐতিহাসিক জয়ের পর তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের দল। তবে প্রথম ম্যাচের থেকে দ্বিতীয় ম্যাচের পিচ সম্পূর্ণরূপে আলাদা ছিল এবং এখানে রান করা অতটা সহজ ছিল না। আর সেই কারণেই এটি একটি লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল এবং পাকিস্তান খুব বুদ্ধি করেই এখানে একটা টার্নিং পিচ তৈরি করে কিন্তু সেই টার্নিং পিচের ঘূর্ণিতে নিজেরাই যেন নিজেদের দলের পারফরমেন্স কে সম্পূর্ণ ভাবে হারিয়ে ফেলে।।
শেষরক্ষা হল না। তীরে এসে তরী ডুবল পাকিস্তানের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পরে মুলতানেও হারের মুখ দেখতে হল বাবর আজমদের। ফলে এক ম্য়াচ বাকি থাকতেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের।রাওয়ালপিন্ডিতে তুলনায় সহজে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে মুলতান টেস্টে লড়াই চলে টানটান।শেষমেশ উত্তেজক ম্য়াচে মাত্র ২৬ রানের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন বেন স্টোকসরা।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৮১ রান তোলে। পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রথম ম্যাচ খেলা হাবরার আহমেদ ৭ উইকেট নিয়ে রীতিমত সারা বিশ্বে সারা ফেলে দেন এবং রাতারাতি তারকা ক্রিকেটারে পরিণত হন। ইংল্যান্ডের করা ২৮১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২০২ রানে। সুতরাং, প্রথম দফায় ৭৯ রানে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড অল-আউট হয় ২৭৫ রানে। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৫৫ রানের। তাদের শেষ ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩২৮ রানে।রাওয়ালপিন্ডির হার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পাকিস্তান মুলতানে ঘূর্ণি পিচকে হাতিয়ার করে। তবে শেষ ইনিংসে স্পিনিং ট্র্যাকেও দাপট দেখান ইংল্যান্ডের পেসাররা।
পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অলআউট করে দেয় এবং 26 রানে এই ম্যাচ জিতে এক নতুন ইতিহাস লিখেছে পাকিস্তানের মাটিতে। তবে এই ম্যাচটি রীতিমত টান টান ছিল, অন্তত গত ম্যাচের মত রানের বন্যা এই ম্যাচে দেখা যায়নি। পাশাপাশি এই পরাজয়ের ফলে বাবর আজমদের চরম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে এমনকি মাঠের থেকে উঠে আসার সময় তাদেরকে চরম গালাগাল করেছে পাকিস্তানি দর্শকরা।