সুপারফোর এর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফাইনালের লড়াই এর টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে এই ম্যাচে জয়লাভ করতেই হতো কিন্তু অনবদ্য লড়াই করা সত্ত্বেও পরাজিত হতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। বাংলাদেশের ইচ্ছামত টসে জয়লাভ করে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেই, এই সিদ্ধান্ত যে খুব একটা খারাপ ছিল তা নয় কারণ বাংলাদেশের পেজ বোলিং এটাক যথেষ্ট ভালো। সুতরাং বিপক্ষকে কমরানে আউট করার যে টার্গেট বাংলাদেশ নিয়েছিল তাতে কিছুটা সফল বলা চলে কারণ 257 রানে শেষ হয় শ্রীলংকার ইনিংস। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা আর এই অন্ধকারেও জ্বলে উঠলেন তাওহীদ হৃদয়।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান সামারাবিক্রমার ৯৩ রান এবং কুশল মেন্ডেস এর ৫০ রানের দৌলতে তারা 257 রান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের তরফ থেকে দুর্দান্ত বোলিং করেন পেস বোলাররা। তাসকিনের তিন উইকেট, শরিফুলের ২ উইকেট এবং হাসানের ৩ উইকেট। পাকিস্তানের পরে যে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং অ্যাটাক বাংলাদেশের সেটা আরো একবার প্রমাণ করলেন এই সমস্ত বোলাররা। বোলাররা নিজেদের কাজ করলেও ব্যর্থ হয়েছে ব্যাটসম্যানরা। একুশ রানে ফিরে গেছেন মোহাম্মদ নাঈম, ২৮ রানে ফিরেছে মেহেদী হাসান। সব থেকে বেশি নির্ভরতা যার উপরে ছিল সেই লিটন দাস ১৫ রানে ফিরেছেন। ২৯ রানে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম কিন্তু লড়াই চালিয়ে যান তাওহিদ হৃদয়।
৯৭ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের এই তরুন ব্যাটসম্যান, লারার ঐতিহাসিক রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি এই ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত যেভাবে তিনি বাংলাদেশ দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন এবং প্রায় জয়ের মুখ পর্যন্ত নিয়ে যান তার এই লড়াইকে স্যালুট জানিয়েছে সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা। তবে উপরের যে কোন ব্যাটসম্যান যদি তার সাথে একটু সঙ্গ দিত তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় অবধারিত ছিল।
সবমিলিয়ে সামান্য কিছু ভুলের জন্য বাংলাদেশকে আবারও এই ম্যাচে পরাজিত হতে হলো যা রীতিমতো একটা বড় ধাক্কা তার কারণ বাংলাদেশের দল এই টুর্নামেন্ট অন্যতম সেরা তার কারণ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সব থেকে সেরা বোলিং অ্যাটাক রয়েছে বাংলাদেশের কাছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এই মুহূর্তে যিনি সব থেকে ভালো ফর্মে রয়েছেন সেই নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের কাছে থাকা সত্ত্বেও তাকে হারিয়েছে টাইগাররা।
সুতরাং বোলিংয়ের সাথে যদি একটু ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলত তাহলে এই এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে বাংলাদেশ থেকে আটকাতে পারত না।