প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৫২ রান সংগ্রহ করে। তা সত্ত্বেও ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকেই। এমনটাও হয়!হ্যাঁ হয়, এবং ভুল করে নয়, আইসিসি স্বীকৃত নিয়ম মেনেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
আসলে এটাই ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের মাহাত্ম্য। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে মাঝপথেই ইনিংস শেষ করতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাই ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় প্রোটিয়াদের সংগৃহীত রানের থেকেও বেশি।বৃহস্পতিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম যুব ওয়ান ডে ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা মন্দ করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে ৫৯ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার যুব দল।
তবে তার পর থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকে তারা।বৃষ্টি ম্যাচের গতিতে বাধ সাধায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান তুললে তাদের ইনিংস শেষ করে দেওয়া হয় সেখানেই। ওপেন করতে নেমে লুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার জোনাথন ভ্যান জিল ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৩১ রান করেন।তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন ডেভিড টিগার ৩২ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রিচার্ড করেন ২৫ বলে ২০ রান। তিনি ১টি ছক্কা মারেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।বাংলাদেশের হয়ে উজ্জামান রফি ৬ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট দখল করেন রোহানত দৌলা বর্ষণ ও ইকবাল হোসেন ইমন। ১টি উইকেট নেন রহমান রাব্বি।
ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৯ ওভারে ১৬৩ রানের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭ রান তুললে বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। তাই খেলা গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে।শুক্রবার গত দিনের পর থেকে পুনরায় খেলা শুরু হলে বাংলাদেশ ২৮.৩ ওভারে ১৫২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ফলে ১০ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে তারা। বাংলাদেশের হয়ে আদিল বিন সিদ্দিক ২৪, মহম্মদ শিহাব জেমস ২৯ ও উজ্জামান রফি ৩৭ রান করেন। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার কেনা মাফাকা।